বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে ছাত্রদলের মাসব্যাপী সদস্য ফরম বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মেহেদী হাসান হিমেল। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত, জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, কাজী জাফর, সুমন সরদার, মাহমুদ হাসান, পরাগ হোসেন সহ বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ছিলো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি গুলি চালায় নিষিদ্ধ সংগঠনের এই নেতা কর্মীরা। আর এই ছাত্রলীগদের পুনর্বাসন করছেন ছাত্রশিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। বাংলা কলেজের ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান সাকিব ছাত্রলীগের একজন কর্মীকে ছাড়াতে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এর মাধ্যমে আমরা কি বুঝতে পারি? তারাই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির ছাত্রলীগ করার প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সরাসরি ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিল। বর্তমানে ছাত্রশিবির ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করতে চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে এমন করা হলে আমরা মেনে নিবো না। ছাত্রশিবিরের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছে। সে সম্ভবত ২০০৮-০৯ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার কিভাবে ছাত্রত্ব থাকে?
জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির নিষ্ক্রিয় নেতাদের হুশিয়ার ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিতে যারা নিষ্ক্রিয় আছেন, তাদের ৫-৬ দিনের মধ্যে তালিকা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্যই ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। আহ্বায়ক কমিটি যাচাই-বাছাই করার পর প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে কমিটি ঘোষণা করবো। রানিং শিক্ষার্থীদের দিয়েই বিভাগের কমিটি দেওয়া হবে।