বাগেরহাটের চিতলমারীতে কচুরিপানার নিচে পাওয়া মরদেহের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ১১ দিন পর খাল থেকে উদ্ধার হওয়া লাভলী বেগম (৪৫) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার মাদকাসক্ত ছেলে রাব্বি খাকী (২৫) জড়িত বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঘটনার ২৪ দিন পর গতকাল (২৪ জুন ২০২৫) চিতলমারী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
গত ৩১ মে দুপুরে উপজেলার নালুয়া-চরচিংগড়ী খালে কচুরিপানার নিচে একটি নারীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত নারী লাভলী বেগম চরচিংগড়ী গ্রামের মনছুর আলী শেখের মেয়ে। তার প্রথম স্বামী আনোয়ার খাকীর ঘরে জন্ম রাব্বীর । দ্বিতীয় স্বামী মনিরুজ্জামান মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে পরানপুর গ্রামে বাবার বাড়ির পাশে বসবাস করছিলেন।
স্বজনদের অভিযোগ, মাদকের টাকার জন্য রাব্বি প্রায়ই মাকে মারধর করতেন। গত ২০ মে রাতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে লাভলী নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১১ দিন পর ৩১ মে সকালে চরচিংগড়ী গ্রামের মফিজুর রহমানের বাড়ির পাশে খালে কচুরিপানার নিচে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খুনী রাব্বি খাকীকে অভয়বানী ও প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে মঙ্গলবার (২৪) জুন গ্রেপ্তার করা হয় এবং বুধবার (২৫ জুন) বিজ্ঞ আদালতে সোপদ্দ করা হয়।