ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় আ.লীগ-বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষ সাংবাদিকসহ আহত ২৫

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ, সাংবাদিসহ  অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার(১৫ নভেম্বর) বেলা  ১২ টার দিকে অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনের বিএনপি মিছিল বের করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানাগেছে, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জি এম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল উপজেলার হাসপাতাল রোডের মোড়ে পৌঁছে। এসময় আওয়ামী লীগের অবরোধ বিরোধী একটি মিছিল সেখানে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষই লাঠি ও ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে টিয়ারশেল ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ কর দেয়। আধাঘণ্টাব্যাপী  সংঘর্ষ চলায় শেরপুর পৌর শহর জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে ৫ জন পুলিশ সদস্য, একজন সাংবাদিক, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী আহত হন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। হাসপাতাল রোড এলাকায় এলে আওয়ামী লীগের লোকজন পিছন থেকে এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘুরে প্রতিহত করার চেষ্টা করতেই পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকেই দায়ি করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক বলেন, বিএনপি প্রথমে আমাদের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে হামলা করে। তারপর আমাদের লোকজন তা প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আমাদের অন্তত ৭ জন আহত হন।
শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ট্যাগস :

বগুড়ায় আ.লীগ-বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষ সাংবাদিকসহ আহত ২৫

আপডেট সময় ০৯:২৭:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ, সাংবাদিসহ  অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার(১৫ নভেম্বর) বেলা  ১২ টার দিকে অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনের বিএনপি মিছিল বের করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানাগেছে, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জি এম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল উপজেলার হাসপাতাল রোডের মোড়ে পৌঁছে। এসময় আওয়ামী লীগের অবরোধ বিরোধী একটি মিছিল সেখানে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষই লাঠি ও ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে টিয়ারশেল ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ কর দেয়। আধাঘণ্টাব্যাপী  সংঘর্ষ চলায় শেরপুর পৌর শহর জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে ৫ জন পুলিশ সদস্য, একজন সাংবাদিক, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী আহত হন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। হাসপাতাল রোড এলাকায় এলে আওয়ামী লীগের লোকজন পিছন থেকে এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘুরে প্রতিহত করার চেষ্টা করতেই পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকেই দায়ি করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক বলেন, বিএনপি প্রথমে আমাদের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে হামলা করে। তারপর আমাদের লোকজন তা প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আমাদের অন্তত ৭ জন আহত হন।
শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।