ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ব্লকেড সরিয়ে নিন, রাজপথের একপাশে অবস্থান করুন: নাহিদ Logo এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’কর্মসূচিতে হামলায় ছাত্রশিবিরে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা Logo আবারও সারা দেশে ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন Logo গোপালগঞ্জে ডিসির বাংলোয় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে হামলা, পুলিশ সদস্য আহত Logo দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলা, সংঘর্ষ চলছে Logo আ. লীগের হামলায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে এনসিপি নেতারা Logo সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আট দিন রিমান্ডে Logo গোপালগঞ্জে এবার ইউএনও’র গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর Logo ইসির ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে আ. লীগের ‘নৌকা’ Logo সাবেক বিএনপি নেতা পুলিশকে পিটিয়ে হাতকড়াসহ পালাল

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

নতুন করে রেমিট্যান্সপ্রবাহ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে অর্থ ছাড়ের ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় লাফ দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী এই রিজার্ভ প্রায় ২২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী তা ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এরও আগে ১৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার (গ্রস) এবং ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬ অনুযায়ী)। ২৭ মে পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম৬ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুন মাসে দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

এরপর ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়নে এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তা পৌঁছায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ওই বছরের অক্টোবরে তা প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করে। এমনকি কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছয়।

তবে ২০২২ সালের পর থেকে ডলার সংকট, আমদানি ব্যয় ও অর্থনৈতিক চাপে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বর্তমানে সেই সীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির জন্য সতর্ক সংকেত হলেও সাম্প্রতিক উত্থান স্বস্তিদায়ক।

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্লকেড সরিয়ে নিন, রাজপথের একপাশে অবস্থান করুন: নাহিদ

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় ১১:১১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

নতুন করে রেমিট্যান্সপ্রবাহ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে অর্থ ছাড়ের ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় লাফ দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী এই রিজার্ভ প্রায় ২২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী তা ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এরও আগে ১৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার (গ্রস) এবং ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬ অনুযায়ী)। ২৭ মে পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম৬ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুন মাসে দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

এরপর ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়নে এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তা পৌঁছায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ওই বছরের অক্টোবরে তা প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করে। এমনকি কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছয়।

তবে ২০২২ সালের পর থেকে ডলার সংকট, আমদানি ব্যয় ও অর্থনৈতিক চাপে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বর্তমানে সেই সীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির জন্য সতর্ক সংকেত হলেও সাম্প্রতিক উত্থান স্বস্তিদায়ক।