ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তা’মীরুল মিল্লাত টঙ্গীতে আলিম ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার Logo দ্য স্কলারস ফোরাম ঢাকা”-এর বৃত্তি কার্যক্রম ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo জামায়াত আমিরের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক Logo সাবেক সিইসিকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কারাগারে Logo ‘আগে বলতাম আওয়ামী লীগ জুলুম করে, এখন একই কাজ বিএনপি করছে’ Logo ‘শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগই ফ্যাসীবাদের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিলো’ Logo রাজধানীতে ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধ জন-সচেতনতা শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ২৯৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত, দেখুন তালিকা Logo গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

নতুন করে রেমিট্যান্সপ্রবাহ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে অর্থ ছাড়ের ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় লাফ দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী এই রিজার্ভ প্রায় ২২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী তা ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এরও আগে ১৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার (গ্রস) এবং ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬ অনুযায়ী)। ২৭ মে পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম৬ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুন মাসে দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

এরপর ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়নে এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তা পৌঁছায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ওই বছরের অক্টোবরে তা প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করে। এমনকি কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছয়।

তবে ২০২২ সালের পর থেকে ডলার সংকট, আমদানি ব্যয় ও অর্থনৈতিক চাপে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বর্তমানে সেই সীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির জন্য সতর্ক সংকেত হলেও সাম্প্রতিক উত্থান স্বস্তিদায়ক।

তা’মীরুল মিল্লাত টঙ্গীতে আলিম ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় ১১:১১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

নতুন করে রেমিট্যান্সপ্রবাহ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে অর্থ ছাড়ের ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় লাফ দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী এই রিজার্ভ প্রায় ২২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী তা ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এরও আগে ১৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার (গ্রস) এবং ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬ অনুযায়ী)। ২৭ মে পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম৬ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুন মাসে দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

এরপর ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়নে এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তা পৌঁছায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ওই বছরের অক্টোবরে তা প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করে। এমনকি কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছয়।

তবে ২০২২ সালের পর থেকে ডলার সংকট, আমদানি ব্যয় ও অর্থনৈতিক চাপে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বর্তমানে সেই সীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির জন্য সতর্ক সংকেত হলেও সাম্প্রতিক উত্থান স্বস্তিদায়ক।