প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৩ জুন) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর শামসুজ্জোহা সরকার তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। নূরুল হুদার পক্ষে মো. তৌহিদুল ইসলাম সজিব রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতত তার ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করে রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর জনতা রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরার বাসা থেকে আটক করে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, কেএম নূরুল হুদা ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।কিন্তু তিনি এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি এবং দেশকে গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত করেছেন। প্রশাসনকে একটি পক্ষে ব্যবহার করেছে, যাতে সংবিধান অমান্য হয়েছে এবং শপথ ঠিক রাখতে পারেননি। দণ্ডবিধি আইনের ১৭১ক ধারা মতে নির্বাচনের ছদ্মবেশ ধারণ করে দিনের ভোট রাতে সম্পাদন করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন।তিনি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরকারি আদেশ, সাংবিধানিক ক্ষমতা হ্রাস, দেশের জনগণের ভোটাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।