ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৩৫

বগুড়ায় আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৩৫

বগুড়ার শেরপুরে অবরোধের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল করা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ দুটি দলের অন্তত ৩৫জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএনপিসহ সমমনা দলের ডাকা অবরোধর পঞ্চমদিন আজ বুধবার দুপুর বারোটার দিকে শহরের হাসপাতাল রোড খেজুরতলা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিকেল পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গুরুতর চারজনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুলিশের আহত সদস্যরা হলেন, শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা, উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান আলী, কনস্টেবল শামীম হাসান, রেজাউল করিম ও আফজাল হোসেন।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ায় তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শেরপুর-ধুনট আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। মিছিলটি শহরের ধুনটমোড় এলাকার দিকে যাচ্ছিল।

একইসময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি শান্তি মিছিল বের হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজামাল সিরাজী, সাইফুল বারী ডাবলু ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি বিএনপির পেছনে পেছনে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে শহরের খেজুরতলায় পৌঁছালে অবরোধের পক্ষে-বিপক্ষে স্লোগান দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে উভয়পক্ষই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, আমাদের শান্তি মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে তিনিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজামাল সিরাজী, সাইফুল বারী ডাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম খোকন ও আরো অন্তত ১১জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, অবরোধের সমর্থনে তারা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন। এটি কয়েক শগজ যেতে না যেতেই উসকানি ছাড়াই আওয়ামী লীগের নেতারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। সেইসঙ্গে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। বিএনপির একজন কর্মীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করা হয়।

শহিদুল ইসলাম বলেন, হামলায় তাদের অন্তত পনেরোজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাৎক্ষনিক তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনিসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রবিতে বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত

বগুড়ায় আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৩৫

আপডেট সময় ০৫:৩০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

বগুড়ার শেরপুরে অবরোধের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল করা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ দুটি দলের অন্তত ৩৫জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএনপিসহ সমমনা দলের ডাকা অবরোধর পঞ্চমদিন আজ বুধবার দুপুর বারোটার দিকে শহরের হাসপাতাল রোড খেজুরতলা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিকেল পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গুরুতর চারজনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুলিশের আহত সদস্যরা হলেন, শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা, উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান আলী, কনস্টেবল শামীম হাসান, রেজাউল করিম ও আফজাল হোসেন।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ায় তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শেরপুর-ধুনট আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। মিছিলটি শহরের ধুনটমোড় এলাকার দিকে যাচ্ছিল।

একইসময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি শান্তি মিছিল বের হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজামাল সিরাজী, সাইফুল বারী ডাবলু ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি বিএনপির পেছনে পেছনে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে শহরের খেজুরতলায় পৌঁছালে অবরোধের পক্ষে-বিপক্ষে স্লোগান দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে উভয়পক্ষই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, আমাদের শান্তি মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে তিনিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজামাল সিরাজী, সাইফুল বারী ডাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম খোকন ও আরো অন্তত ১১জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, অবরোধের সমর্থনে তারা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন। এটি কয়েক শগজ যেতে না যেতেই উসকানি ছাড়াই আওয়ামী লীগের নেতারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। সেইসঙ্গে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। বিএনপির একজন কর্মীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করা হয়।

শহিদুল ইসলাম বলেন, হামলায় তাদের অন্তত পনেরোজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাৎক্ষনিক তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনিসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।