ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে আবদুল কুদ্দুস নামে এক বৃদ্ধকে  কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

শনিবার (২১ জুন) রাতে উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কুদ্দুস (৬০) বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাওসার আশা গ্রুপের সঙ্গে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির নেতা হান্নান সরকারের অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।

শুক্রবার (২০ জুন) এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর জেরে হান্নান গ্রুপের লোকজন আশা গ্রুপের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ খবরে নিহতের স্বজন ও আশা গ্রুপের লোকজন রেললাইন সংলগ্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে রনি-জাফর গ্রুপের নেতা জাফর অভিযোগ করে বলেছেন, আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার একজন কর্মী। বাবু-মেহেদী গ্রুপ আশার নাম ভাঙিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। আমি এর প্রতিবাদ করায় হান্নান সরকারের নির্দেশে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমাকে না পেয়ে আমাদের পক্ষের অনুসারী পারভেজের বাবাকে হত্যা করেছে।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, হান্নান সরকারের লোকজন আব্দুল কুদ্দুসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির নেতা হান্নান সরকার বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তাছাড়া একটি পক্ষ আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুস নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত শেষে বলা সম্ভব হবে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বাড়েনি

বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ০৯:২৯:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে আবদুল কুদ্দুস নামে এক বৃদ্ধকে  কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

শনিবার (২১ জুন) রাতে উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কুদ্দুস (৬০) বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাওসার আশা গ্রুপের সঙ্গে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির নেতা হান্নান সরকারের অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।

শুক্রবার (২০ জুন) এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর জেরে হান্নান গ্রুপের লোকজন আশা গ্রুপের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ খবরে নিহতের স্বজন ও আশা গ্রুপের লোকজন রেললাইন সংলগ্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে রনি-জাফর গ্রুপের নেতা জাফর অভিযোগ করে বলেছেন, আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার একজন কর্মী। বাবু-মেহেদী গ্রুপ আশার নাম ভাঙিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। আমি এর প্রতিবাদ করায় হান্নান সরকারের নির্দেশে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমাকে না পেয়ে আমাদের পক্ষের অনুসারী পারভেজের বাবাকে হত্যা করেছে।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, হান্নান সরকারের লোকজন আব্দুল কুদ্দুসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির নেতা হান্নান সরকার বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তাছাড়া একটি পক্ষ আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুস নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত শেষে বলা সম্ভব হবে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।