ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছে নাহিদ ইসলাম Logo ছাত্রলীগের নামে রুম দখলে নেওয়া সেই পিয়াল এখন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক Logo পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে জবি শিক্ষার্থীকে খুন Logo ভিক্টোরিয়া কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, আগ্নেযাস্ত্র প্রদর্শন Logo “পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণেই হামলা, রক্তাক্ত জামায়াত নেতার পুত্র এখন ঢাকা মেডিকেলে” Logo এবার একসঙ্গে মাঠে নামছে জামায়াতসহ সমমনা ৮ দল Logo প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোক নিরাপদ নয় : ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোক নিরাপদ নয়। এক বিএনপি আরেক বিএনপিকে খেয়ে ফেলছে। তাদের ছাত্র সংগঠন মূল দলের কাছে চাঁদা না পেয়ে নেতাদের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। যাদের কাছে নিজেদের দলের মানুষ নিরাপদ না, তাদের কাছে দেশের কোনো মানুষ নিরাপদ হতে পারে না।

শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগর আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়জুল করীম বলেন, যে দলের একটি অঙ্গসংগঠনকে অপর অঙ্গসংগঠনকে চাঁদা দিতে হয়, তাদের কাছে কোনো ব্যবসায়ী নিরাপদ হতে পারে না। যে দলের মানুষ খুন করে, সেই দলের কাছে কোনো মানুষের জানমাল নিরাপদ থাকতে পারে না। যে দল শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পারে না, তাদের মাধ্যমে দেশের মানুষ শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে পারে না। তারা নিজেরাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে চায়। যারা মেয়র হওয়ার আগেই সিটি কর্পোরেশন ভবন দখল করে, তাদের হাতে দেশের মানুষের জানমাল, ইজ্জত নিরাপদ থাকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, দেশের নতুন ভোটার শতকরা ৩৮ ভাগ। তারা জানে না ধানের শীষ কী জিনিস। তারা জিয়াউর রহমানের আদর্শ শুনতে চায় না। নতুন ভোটারদের কাছে তারা কি জিয়াউর রহমানের আদর্শ চাঁদাবাজি, খুন করা, অবৈধ দখল, জুলুম, অত্যাচার করা শোনাবে। পত্রিকায় এসেছে ইশরাক সাহেবের পক্ষে রায়ের জন্য বিচার বিভাগকে চাপ দেওয়া হয়েছে। জোর করে তারা নিজেদের পক্ষে রায় দিয়েছে। যারা জোর করে নিজেদের পক্ষে রায় আনে তাদের হাতে বিচার বিভাগ নিরাপদ হতে পারে না।

ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশে আবু সাঈদ কতবার জন্ম নেবে। কতবার রক্ত দেবে। অবৈধ ব্যক্তি ও চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আনার জন্য আমরা আর এক ফোঁটা রক্ত দিতে চাই না। খুনি, চাঁদাবাজদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। দেশের মানুষ ইনসাফ, আল্লাহ ভীরুদের ক্ষমতায় আনতে চায়। কারণ তাদের হাতে অবৈধ খুনের রক্ত নেই, তারা ধর্ষণ-ইভটিজিং করে না।

এ সময় সমাবেশ জুলাই গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার, সকল আহতদের দ্রুত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা, দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের বিচার নিশ্চিত করে জাতীয় রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা, ইসলাম, দেশ ও সমাজবিরোধী অনৈতিক নারী কমিশন বাতিল, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক দ্রুততম সময়ে সংশোধন করে সংখ্যানুপাতিক জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থা এবং ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে সুদ-ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।

ইসলামী আন্দোলনের রংপুর মহানগর সভাপতি মাওলানা হাফেজ আব্দুর রহমান কাসেমীর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী অকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট
হাফেজ এম হাসিবুল ইসলাম, সুলতান মাহমুদ, রংপুর জেলা সভাপতি এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।

সমাবেশ থেকে রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। প্রার্থীরা হলেন- রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনে এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবু, রংপুর-২ আসনে (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আশরাফ আলী , রংপুর-৩ (সদর ও সিটি) আসনে আমিরুজ্জামান পিয়াল, রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে জাহিদ হোসেন এবং রংপুর-৫ আসনে (মিঠাপুকুর) গোলজার হোসেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোক নিরাপদ নয় : ফয়জুল করীম

আপডেট সময় ০৭:১৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোক নিরাপদ নয়। এক বিএনপি আরেক বিএনপিকে খেয়ে ফেলছে। তাদের ছাত্র সংগঠন মূল দলের কাছে চাঁদা না পেয়ে নেতাদের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। যাদের কাছে নিজেদের দলের মানুষ নিরাপদ না, তাদের কাছে দেশের কোনো মানুষ নিরাপদ হতে পারে না।

শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগর আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়জুল করীম বলেন, যে দলের একটি অঙ্গসংগঠনকে অপর অঙ্গসংগঠনকে চাঁদা দিতে হয়, তাদের কাছে কোনো ব্যবসায়ী নিরাপদ হতে পারে না। যে দলের মানুষ খুন করে, সেই দলের কাছে কোনো মানুষের জানমাল নিরাপদ থাকতে পারে না। যে দল শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পারে না, তাদের মাধ্যমে দেশের মানুষ শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে পারে না। তারা নিজেরাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে চায়। যারা মেয়র হওয়ার আগেই সিটি কর্পোরেশন ভবন দখল করে, তাদের হাতে দেশের মানুষের জানমাল, ইজ্জত নিরাপদ থাকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, দেশের নতুন ভোটার শতকরা ৩৮ ভাগ। তারা জানে না ধানের শীষ কী জিনিস। তারা জিয়াউর রহমানের আদর্শ শুনতে চায় না। নতুন ভোটারদের কাছে তারা কি জিয়াউর রহমানের আদর্শ চাঁদাবাজি, খুন করা, অবৈধ দখল, জুলুম, অত্যাচার করা শোনাবে। পত্রিকায় এসেছে ইশরাক সাহেবের পক্ষে রায়ের জন্য বিচার বিভাগকে চাপ দেওয়া হয়েছে। জোর করে তারা নিজেদের পক্ষে রায় দিয়েছে। যারা জোর করে নিজেদের পক্ষে রায় আনে তাদের হাতে বিচার বিভাগ নিরাপদ হতে পারে না।

ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশে আবু সাঈদ কতবার জন্ম নেবে। কতবার রক্ত দেবে। অবৈধ ব্যক্তি ও চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আনার জন্য আমরা আর এক ফোঁটা রক্ত দিতে চাই না। খুনি, চাঁদাবাজদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। দেশের মানুষ ইনসাফ, আল্লাহ ভীরুদের ক্ষমতায় আনতে চায়। কারণ তাদের হাতে অবৈধ খুনের রক্ত নেই, তারা ধর্ষণ-ইভটিজিং করে না।

এ সময় সমাবেশ জুলাই গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার, সকল আহতদের দ্রুত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা, দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের বিচার নিশ্চিত করে জাতীয় রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা, ইসলাম, দেশ ও সমাজবিরোধী অনৈতিক নারী কমিশন বাতিল, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক দ্রুততম সময়ে সংশোধন করে সংখ্যানুপাতিক জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থা এবং ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে সুদ-ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।

ইসলামী আন্দোলনের রংপুর মহানগর সভাপতি মাওলানা হাফেজ আব্দুর রহমান কাসেমীর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী অকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট
হাফেজ এম হাসিবুল ইসলাম, সুলতান মাহমুদ, রংপুর জেলা সভাপতি এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।

সমাবেশ থেকে রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। প্রার্থীরা হলেন- রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনে এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবু, রংপুর-২ আসনে (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আশরাফ আলী , রংপুর-৩ (সদর ও সিটি) আসনে আমিরুজ্জামান পিয়াল, রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে জাহিদ হোসেন এবং রংপুর-৫ আসনে (মিঠাপুকুর) গোলজার হোসেন।