ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি নিরাপদ বাংকারে থেকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে সম্ভাব্য ৩ জন আলেমকে মনোনীত করেছেন বলে জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু।
তার এই পদক্ষেপকে নিজের জীবন এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্ব কাঠামো রক্ষার জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আার শনিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, খামেনি ইলেকট্রনিক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি মূলত বিশ্বস্ত সহকারীর মাধ্যমে সেনাপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন যাতে তার অবস্থান শনাক্ত না করা যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খামেনি বর্তমানে ‘বাংকারে অবস্থান করছেন’। তিনি সেনাবাহিনীর নতুন নেতৃত্বের জন্য কর্মকর্তাদের নাম দিয়েছেন। এছাড়া, তার মৃত্যুর পর তিনজন জ্যেষ্ঠ্ আলেমকে সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করেছেন।ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে খামেনিকে হত্যার হুমকির পর এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে। খামেনি মনে করেন, ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো সময় তাকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে।
এছাড়া, ইরানী নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হয়েছে। ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় সিনিয়র কর্মকর্তাদের ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।এখনো পর্যন্ত ইরানের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
১৩ জুন, ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক এবং পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা শুরু করলে, ইরান পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইরান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের আক্রমণে ৪৩০ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৫০০’রও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।