ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইউআইইউ‘র ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার Logo সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে গেলে আরেকটা ফ্যাসিবাদ জন্ম দেবে: গোলাম পরওয়ার Logo বিএনপি নেতার গুদাম থেকে ৩০৪ বস্তা চাল উদ্ধার করল সেনাবাহিনী Logo ইরানের পরবর্তী সম্ভাব্য উত্তরসূরি মনোনীত করলেন খামেনি Logo এবার ইরানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা হিজবুল্লাহর Logo আজীবন ক্ষমতায় থাকতে ইরান যুদ্ধকে ব্যবহার করছে নেতানিয়াহু : বিল ক্লিনটন Logo ইসরায়েলের হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত, ভিডিও প্রকাশ Logo ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস Logo ছাত্রলীগ নেতা এখন ছাত্রদল সভাপতি Logo অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস

ছবি: সারজিস আলম

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে সব কিছু ছিল এক ব্যক্তি এবং এক দলকেন্দ্রিক। ইতিহাস মানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ভুল ধরার সুযোগ নেই। ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত, শিবির, রাজাকার কিংবা সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী ট্যাগ খাবেন।


শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়ে ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘একইভাবে মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের কিংবা সরকারের সমালোচনা করতে পারলেও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেশতা। এটা বলার স্পর্ধা দেখালে আপনি আবার ট্যাগ খাবেন। গুম, খুন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও সম্মুখীন হতে পারেন।

তখন মনে হতো এমনকি কোনো সময় আসবে কিংবা এমন কিছু মানুষ কি থাকবে, যারা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তত ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০০৮ পর্যন্ত আমাদের সামনে তুলে ধরবে? সেই সুযোগ তখন ছিল না। এখন আছে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা এই প্রজন্ম চাই, ইতিহাসের এই অধ্যায়গুলোতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি; তিনি যেকোনো দল, মত, ধর্ম, বর্ণ কিংবা ক্ষেত্রের হোক না কেন, তাদের তাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে হবে। তাদের ভালো কাজগুলোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে, সীমাবদ্ধতাগুলোকে অ্যাড্রেস করতে হবে।


তিনি বলেন, ‘যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন, পড়াশোনা করেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাকের এই ইতিহাসগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পারসপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন। জনগণ বিচার করুক কোনটা তারা গ্রহণ করবে আর কোনটা গ্রহণ করবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদ, জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে যাদের যতটুকু অবদান সেগুলো তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি তাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই সীমাবদ্ধতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

কাউকে ফেরেশতা বানানোর প্রয়োজন নেই, আবার কাউকে উপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দিতে হবে।’

ট্যাগস :

ইউআইইউ‘র ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস

আপডেট সময় ০৬:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে সব কিছু ছিল এক ব্যক্তি এবং এক দলকেন্দ্রিক। ইতিহাস মানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ভুল ধরার সুযোগ নেই। ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত, শিবির, রাজাকার কিংবা সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী ট্যাগ খাবেন।


শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়ে ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘একইভাবে মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের কিংবা সরকারের সমালোচনা করতে পারলেও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেশতা। এটা বলার স্পর্ধা দেখালে আপনি আবার ট্যাগ খাবেন। গুম, খুন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও সম্মুখীন হতে পারেন।

তখন মনে হতো এমনকি কোনো সময় আসবে কিংবা এমন কিছু মানুষ কি থাকবে, যারা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তত ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০০৮ পর্যন্ত আমাদের সামনে তুলে ধরবে? সেই সুযোগ তখন ছিল না। এখন আছে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা এই প্রজন্ম চাই, ইতিহাসের এই অধ্যায়গুলোতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি; তিনি যেকোনো দল, মত, ধর্ম, বর্ণ কিংবা ক্ষেত্রের হোক না কেন, তাদের তাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে হবে। তাদের ভালো কাজগুলোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে, সীমাবদ্ধতাগুলোকে অ্যাড্রেস করতে হবে।


তিনি বলেন, ‘যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন, পড়াশোনা করেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাকের এই ইতিহাসগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পারসপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন। জনগণ বিচার করুক কোনটা তারা গ্রহণ করবে আর কোনটা গ্রহণ করবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদ, জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে যাদের যতটুকু অবদান সেগুলো তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি তাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই সীমাবদ্ধতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

কাউকে ফেরেশতা বানানোর প্রয়োজন নেই, আবার কাউকে উপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দিতে হবে।’