ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ইরানের সাথে যোগাযোগের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পরস্পরবিরোধী বার্তা

পরমাণু কর্মসূচিতে সমঝোতার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইরানের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বার্তা পাচ্ছে বিশ্ব। ফলে প্রকৃত চিত্র বোঝা মুশকিল। কারণ ইরান বিশেষভাবে বলেছে, ইসরায়েল বিমান হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবে না।

কিন্তু হোয়াইট হাউস পূর্বে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ গত কয়েক দিন ধরে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। যদিও এই সময় ইসরায়েল পুরোদমে বিমান হামলা চালাচ্ছে। একেক হামলায় ৫০-৬০টি বিমান একযোগে ইরানের অস্ত্র কারখানায় বোমা ফেলছে।

তাহলে কোনটি সত্য? আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘‘এটা খুব একটা স্পষ্ট নয়। তবে অবশ্যই ট্রাম্পকে দুটি বিষয় উল্লেখ করতে শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েল জিতছে’। আমরা জানি, তিনি বিজয়ীর পক্ষে থাকতে পছন্দ করেন।’’

আসলে ট্রাম্প কৃতিত্ব নিতে চান। তিনি এ নিয়ে কথা বলতেও উপভোগ করেন। তার মনোভাব হলো, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা নেই। যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশেষ করে ট্রাম্প নিজেই এ সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম।

ট্রাম্পের বিবৃতিই এই বিষয়ে তার আরও শক্তিশালী অবস্থানের প্রতিফলন। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে বিমান হামলায় যোগ দেবেন কি না, এ সিদ্ধান্ত তিনি এখনও নেননি। তবে যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন; তিনি বলেছেন, ‘একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি না।’ তার মনে, ইরানের বিষয়ে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

ট্যাগস :

ইরাক আগ্রাসনের মতো মিথ্যা অজুহাতে ইসরায়েলের হামলা’

ইরানের সাথে যোগাযোগের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পরস্পরবিরোধী বার্তা

আপডেট সময় ০৯:৩২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

পরমাণু কর্মসূচিতে সমঝোতার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইরানের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বার্তা পাচ্ছে বিশ্ব। ফলে প্রকৃত চিত্র বোঝা মুশকিল। কারণ ইরান বিশেষভাবে বলেছে, ইসরায়েল বিমান হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবে না।

কিন্তু হোয়াইট হাউস পূর্বে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ গত কয়েক দিন ধরে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। যদিও এই সময় ইসরায়েল পুরোদমে বিমান হামলা চালাচ্ছে। একেক হামলায় ৫০-৬০টি বিমান একযোগে ইরানের অস্ত্র কারখানায় বোমা ফেলছে।

তাহলে কোনটি সত্য? আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘‘এটা খুব একটা স্পষ্ট নয়। তবে অবশ্যই ট্রাম্পকে দুটি বিষয় উল্লেখ করতে শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েল জিতছে’। আমরা জানি, তিনি বিজয়ীর পক্ষে থাকতে পছন্দ করেন।’’

আসলে ট্রাম্প কৃতিত্ব নিতে চান। তিনি এ নিয়ে কথা বলতেও উপভোগ করেন। তার মনোভাব হলো, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা নেই। যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশেষ করে ট্রাম্প নিজেই এ সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম।

ট্রাম্পের বিবৃতিই এই বিষয়ে তার আরও শক্তিশালী অবস্থানের প্রতিফলন। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে বিমান হামলায় যোগ দেবেন কি না, এ সিদ্ধান্ত তিনি এখনও নেননি। তবে যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন; তিনি বলেছেন, ‘একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি না।’ তার মনে, ইরানের বিষয়ে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।