ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজ থেকে সারাদেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা Logo জবির দুই শিক্ষককে ছাত্রদলের মারধর, তদন্ত কমিটি থেকে সভাপতি-সেক্রেটারির পদত্যাগ Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলা Logo সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ আরও ২ মাস বাড়ল Logo এবার ‘শাটডাউন’ ঘোষণা মিটফোর্ড শিক্ষার্থীদের Logo নোয়াখালীতে পানি নিষ্কাসন ও খাল খননের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা Logo নৈরাজ্যকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার: তারেক রহমান Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: ছাত্রদল নেতা রবিনের দায়স্বীকার Logo ঢাকাসহ ১১ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

আওয়ামী লীগ নেতা এখন বিএনপির সভাপতি

রাজনৈতিক পালাবদলে দলবদল বা ভোলবদলের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়, তবে দলীয় পদ-পদবি পাওয়া নিয়ে কখনো কখনো বিস্ময়ও দেখা দেয়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনাটিকে ঘিরে বিরোধ ও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায, বড়কান্দা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান মিয়াকে একই ওয়ার্ডে বিএনপির সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৭ জুন বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওয়ার্ড বিএনপির এক সভায় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সির উপস্থিতিতে তাকে এ পদে মনোনীত করা হয়। আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমিন মেম্বারসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সভা চলাকালে হঠাৎ করে যখন উপজেলার নেতারা মান্নান মিয়াকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন, উপস্থিত নেতাকর্মীদের অনেকেই তখন হতবাক হয়ে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, হামলা-মামলা সহ্য করে দলের পাশে ছিলেন তারা। অথচ ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে এক সময়কার আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপির দায়িত্ব দেওয়া তাদের জন্য লজ্জার। এটি দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবিচার। তাছাড়া যাদের কারণে অতীতে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তারাই আজ দলের নেতৃত্বে চলে আসছেন। এতে শুধু আত্মসম্মানই ক্ষুণ্ন হচ্ছে না, সাধারণ মানুষের কাছেও দলের ভাবমূর্তি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তাদের দাবি, বিএনপিতে এমন অনেক ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতা রয়েছেন, যারা প্রকৃত অর্থে নেতৃত্বের যোগ্য। কিন্তু বারবার বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদ দেওয়ায় মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ বাড়ছে।

তৃণমূল বিএনপির নেতারা মনে করছেন, এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ঐক্য বিনষ্ট করতে পারে। একই সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক ভারসাম্যেও প্রভাব পড়তে পারে। এখন দেখার বিষয় বিএনপির সিনিয়র নেতৃত্ব এই ইস্যুতে কী অবস্থান নেন।

আওয়ামী লীগ নেতা থেকে কীভাবে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হলেন আব্দুল মান্নান মিয়া, তা জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সিকে কল দিলে বলেন, একটি দরবারে আছেন পরে কথা বলবেন তিনি। তবে ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি লিখেন অনুসন্ধানে যদি প্রমাণিত হয় আব্দুল মান্নান মিয়া আওয়ামী লীগের লোক তাহলে এই কমিটি বাতিল করে পুনরায় কমিটি গঠন করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ থেকে সারাদেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা

আওয়ামী লীগ নেতা এখন বিএনপির সভাপতি

আপডেট সময় ০৯:৩৩:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

রাজনৈতিক পালাবদলে দলবদল বা ভোলবদলের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়, তবে দলীয় পদ-পদবি পাওয়া নিয়ে কখনো কখনো বিস্ময়ও দেখা দেয়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনাটিকে ঘিরে বিরোধ ও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায, বড়কান্দা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান মিয়াকে একই ওয়ার্ডে বিএনপির সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৭ জুন বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওয়ার্ড বিএনপির এক সভায় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সির উপস্থিতিতে তাকে এ পদে মনোনীত করা হয়। আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমিন মেম্বারসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সভা চলাকালে হঠাৎ করে যখন উপজেলার নেতারা মান্নান মিয়াকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন, উপস্থিত নেতাকর্মীদের অনেকেই তখন হতবাক হয়ে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, হামলা-মামলা সহ্য করে দলের পাশে ছিলেন তারা। অথচ ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে এক সময়কার আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপির দায়িত্ব দেওয়া তাদের জন্য লজ্জার। এটি দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবিচার। তাছাড়া যাদের কারণে অতীতে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তারাই আজ দলের নেতৃত্বে চলে আসছেন। এতে শুধু আত্মসম্মানই ক্ষুণ্ন হচ্ছে না, সাধারণ মানুষের কাছেও দলের ভাবমূর্তি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তাদের দাবি, বিএনপিতে এমন অনেক ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতা রয়েছেন, যারা প্রকৃত অর্থে নেতৃত্বের যোগ্য। কিন্তু বারবার বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদ দেওয়ায় মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ বাড়ছে।

তৃণমূল বিএনপির নেতারা মনে করছেন, এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ঐক্য বিনষ্ট করতে পারে। একই সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক ভারসাম্যেও প্রভাব পড়তে পারে। এখন দেখার বিষয় বিএনপির সিনিয়র নেতৃত্ব এই ইস্যুতে কী অবস্থান নেন।

আওয়ামী লীগ নেতা থেকে কীভাবে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হলেন আব্দুল মান্নান মিয়া, তা জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সিকে কল দিলে বলেন, একটি দরবারে আছেন পরে কথা বলবেন তিনি। তবে ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি লিখেন অনুসন্ধানে যদি প্রমাণিত হয় আব্দুল মান্নান মিয়া আওয়ামী লীগের লোক তাহলে এই কমিটি বাতিল করে পুনরায় কমিটি গঠন করা হবে।