সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও সলঙ্গার অংশবিশিষ্ট) আসনের বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত ৫ জন সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের শাহ শরীফ জিন্দানী মাজার মসজিদে একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। এ সময় রাজনৈতিক সৌজন্য ও আন্তরিকতার অবতারণা হয়।
জানা গেছে, আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন চারজন। তারা হলেন রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আয়নুল হক, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার কামাল হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য রাহিদ মান্নান লেলিন এবং রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন খান।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে একক প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুস সামাদ। জুমার নামাজে ইমামতি করেন তিনিই। নামাজ শেষে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপির চার প্রার্থী।
নামাজে অংশগ্রহণকারী স্থানীয় মুসল্লি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সবাই মিলিত হয়েছেন। পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন রাজনীতিই জনগণ প্রত্যাশা করে।”
বিষয়টি নিয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম বলেন, “আমরা জানতাম না জামায়াতের প্রার্থীও এখানে নামাজে অংশ নেবেন। তবে যেহেতু মসজিদ আল্লাহর ঘর, সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সৌজন্য বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য। জামায়াতের প্রার্থী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির প্রশংসা করেছেন এবং জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে রাজনীতিতে জায়গা পাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন।”
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর আলী মর্তুজা বলেন, “আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা এখানে এসেছিলাম। প্রার্থী যেহেতু একজন আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক স্কলার, এলাকাবাসীর আগ্রহও ছিল তাঁকে ইমাম হিসেবে পেতে। এখানে রাজনৈতিক সৌজন্যের একটি ইতিবাচক পরিবেশ দেখেছি। সকলেই সম্মান ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কথা বলেছেন। ভবিষ্যতে এই ধারা রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।”
স্থানীয়দের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলছেন, রাজনৈতিক সৌজন্যতা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক বার্তাই দিচ্ছে।