ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফজলুর রহমানের দলীয় পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করলো বিএনপি Logo শোকজের জবাবে যা লিখলেন ফজলুর রহমান Logo পরীক্ষার সময় ছাত্রদলের উচ্চস্বরে স্লোগান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা Logo ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের পোস্টার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ Logo তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ ব্যত্যয় না করার আহবান Logo শপথ নিয়েছেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি Logo বিমানবন্দরে বিদেশি নারীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার মাদক জব্দ Logo ডাকসু নির্বাচনে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী Logo জুলাই গণহত্যা:আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৯ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি চলছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বে মডেল হবে: শফিকুল ইসলাম মাসুদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্য নয়, সারা বিশ্বে মডেল হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামির ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সহাবস্থানের জন্য সারা বিশ্বে মডেল হবে।

আজ শুক্রবার (২০জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি(জবিসাস) কতৃক আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তিনি। জবিসাসের ১৯তম বর্ষপূর্তী উপলক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় মাসুদ বলেন, এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে গেইট দিয়ে ঢুকতে গেলে, অন্যান্য দলের ছাত্রনেতারা ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে ছাত্রলীগ নামক কলম্কের কাছে হামলার শিকার হতো, অনুমতি নিতো হতো। কিন্তু আজ সেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রবেশ করেছি, একই মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছি, শিবির ছাত্রদল ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠন একই মঞ্চে আছে, এটা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রোল মডেল, এজন্য আমি জবির শিক্ষকদের যারা এই পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বে মডেল হবে। গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের মডেল হবে।

ফেসিবাদের পতনে গণমাধ্যমের ভূমিকায় শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের প্রিয়মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফেসিবাদের জন্ম দিয়েছিল সাংবাদিকরা। এই সাংবাদিকরাই ফেসিবাদের পতন ঘটিয়েছে, ওই সাংবাদিককে,যিনি হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা পাবে না তো রাজাকারেরা পাবে, ধন্যবাদ দিয়ে বলতে চাই তিনি প্রশ্ন করে শুধু ফেসিবাদের পতনই করেন নাই, নতুন এক বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন।

সেমিনারে প্রধান অতিধির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন,
৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে ২৪ এর গণ অভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে করা কার্টুন নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার দিয়েছেন। এই ঘটনা ফ্যাসিবাদ পরবর্তী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি নজির হয়ে থাকবে।

জবিসাসের সভাপতি ইমরান হেসাইনের সভাপতিত্বে ও জবিসাসের সেক্রেটারি মাহতাব হোসেন লিমনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের( বিএনপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামির ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণ অধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির জেনেরাল সেক্রেটারী মুহা: নিজামুল হক নাঈম, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ন আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেত্ববৃন্দ।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফজলুর রহমানের দলীয় পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করলো বিএনপি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বে মডেল হবে: শফিকুল ইসলাম মাসুদ

আপডেট সময় ০৮:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্য নয়, সারা বিশ্বে মডেল হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামির ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সহাবস্থানের জন্য সারা বিশ্বে মডেল হবে।

আজ শুক্রবার (২০জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি(জবিসাস) কতৃক আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তিনি। জবিসাসের ১৯তম বর্ষপূর্তী উপলক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় মাসুদ বলেন, এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে গেইট দিয়ে ঢুকতে গেলে, অন্যান্য দলের ছাত্রনেতারা ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে ছাত্রলীগ নামক কলম্কের কাছে হামলার শিকার হতো, অনুমতি নিতো হতো। কিন্তু আজ সেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রবেশ করেছি, একই মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছি, শিবির ছাত্রদল ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠন একই মঞ্চে আছে, এটা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রোল মডেল, এজন্য আমি জবির শিক্ষকদের যারা এই পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বে মডেল হবে। গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের মডেল হবে।

ফেসিবাদের পতনে গণমাধ্যমের ভূমিকায় শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের প্রিয়মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফেসিবাদের জন্ম দিয়েছিল সাংবাদিকরা। এই সাংবাদিকরাই ফেসিবাদের পতন ঘটিয়েছে, ওই সাংবাদিককে,যিনি হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা পাবে না তো রাজাকারেরা পাবে, ধন্যবাদ দিয়ে বলতে চাই তিনি প্রশ্ন করে শুধু ফেসিবাদের পতনই করেন নাই, নতুন এক বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন।

সেমিনারে প্রধান অতিধির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন,
৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে ২৪ এর গণ অভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে করা কার্টুন নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার দিয়েছেন। এই ঘটনা ফ্যাসিবাদ পরবর্তী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি নজির হয়ে থাকবে।

জবিসাসের সভাপতি ইমরান হেসাইনের সভাপতিত্বে ও জবিসাসের সেক্রেটারি মাহতাব হোসেন লিমনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের( বিএনপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামির ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণ অধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির জেনেরাল সেক্রেটারী মুহা: নিজামুল হক নাঈম, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ন আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেত্ববৃন্দ।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতা কর্মীরা।