ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা আর স্বাধীন থাকবে না: ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা আর স্বাধীন থাকবে না: ইসরায়েল

ইসরায়েলের উগ্রডানপন্থি সরকারের অর্থমন্ত্রী বাজালেল স্মোরিচ বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা আর স্বাধীন অঞ্চল থাকবে না। তিনি ফিলিস্তিনিদের ‘স্বেচ্ছায়’ অন্য দেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এমন মন্তব্য করেন স্মোরিচ। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে গাজার আরবদের (বাসিন্দাদের) স্ব-ইচ্ছায় চলে যাওয়াকে আমি স্বাগত জানাই। ৭৫ বছরের শরণার্থী জীবন, দারিদ্রতা এবং ঝুঁকির পর এটি গাজার বাসিন্দা ও এই অঞ্চলের জন্য সঠিক মানবিক সমাধান। ইসরায়েল গাজায় আর কোনো স্বাধীন অঞ্চলকে মেনে নিতে পারবে না।’

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের পার্লামেন্টের দুই সদস্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে একটি কলাম লেখেন। সেখানে তারা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান গাজার যেসব বাসিন্দা পশ্চিমে চলে ইচ্ছুক তাদের যেন তারা বরণ করে নেন। এরপরই ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন।

লিকুদ পার্টির ড্যানি ডানোন এবং ইয়াস আতিদ পার্টির রাম বেন বারাক ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে এমন কলাম লেখেন। এতে তারা বলেছেন, ইউরোপ বিশ্বের অনেক দ্বন্দ্বপূর্ণ অঞ্চলের মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। গাজার বাসিন্দাদেরও তাদের এমনভাবে আশ্রয় দেওয়া উচিত।

ইসরায়েলের এই উগ্রপন্থী মন্ত্রীর বক্তব্য ও পার্লামেন্টের দুই সদস্যের এমন কলামে পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে গাজায় দখলদার ইসরায়েল জাতিগত নিধন চালানোর পরিকল্পনা করছে। এই নিধনের মাধ্যমে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে ইসরায়েলের অংশে পরিণত করা হবে।

ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করে ১৯৪৮ সালে গঠিত হয় ইসরায়েল। এরপর ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক তাদের বাড়ি-ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়ে সেসব জায়গায় ইহুদি বসতি স্থাপন করা হয়।

হাইতিতে ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা, এলাকা ছাড়া ছয় হাজার বাসিন্দা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা আর স্বাধীন থাকবে না: ইসরায়েল

আপডেট সময় ০৮:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলের উগ্রডানপন্থি সরকারের অর্থমন্ত্রী বাজালেল স্মোরিচ বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা আর স্বাধীন অঞ্চল থাকবে না। তিনি ফিলিস্তিনিদের ‘স্বেচ্ছায়’ অন্য দেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এমন মন্তব্য করেন স্মোরিচ। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে গাজার আরবদের (বাসিন্দাদের) স্ব-ইচ্ছায় চলে যাওয়াকে আমি স্বাগত জানাই। ৭৫ বছরের শরণার্থী জীবন, দারিদ্রতা এবং ঝুঁকির পর এটি গাজার বাসিন্দা ও এই অঞ্চলের জন্য সঠিক মানবিক সমাধান। ইসরায়েল গাজায় আর কোনো স্বাধীন অঞ্চলকে মেনে নিতে পারবে না।’

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের পার্লামেন্টের দুই সদস্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে একটি কলাম লেখেন। সেখানে তারা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান গাজার যেসব বাসিন্দা পশ্চিমে চলে ইচ্ছুক তাদের যেন তারা বরণ করে নেন। এরপরই ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন।

লিকুদ পার্টির ড্যানি ডানোন এবং ইয়াস আতিদ পার্টির রাম বেন বারাক ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে এমন কলাম লেখেন। এতে তারা বলেছেন, ইউরোপ বিশ্বের অনেক দ্বন্দ্বপূর্ণ অঞ্চলের মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। গাজার বাসিন্দাদেরও তাদের এমনভাবে আশ্রয় দেওয়া উচিত।

ইসরায়েলের এই উগ্রপন্থী মন্ত্রীর বক্তব্য ও পার্লামেন্টের দুই সদস্যের এমন কলামে পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে গাজায় দখলদার ইসরায়েল জাতিগত নিধন চালানোর পরিকল্পনা করছে। এই নিধনের মাধ্যমে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে ইসরায়েলের অংশে পরিণত করা হবে।

ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করে ১৯৪৮ সালে গঠিত হয় ইসরায়েল। এরপর ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক তাদের বাড়ি-ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়ে সেসব জায়গায় ইহুদি বসতি স্থাপন করা হয়।