ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজ থেকে সারাদেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা Logo জবির দুই শিক্ষককে ছাত্রদলের মারধর, তদন্ত কমিটি থেকে সভাপতি-সেক্রেটারির পদত্যাগ Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলা Logo সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ আরও ২ মাস বাড়ল Logo এবার ‘শাটডাউন’ ঘোষণা মিটফোর্ড শিক্ষার্থীদের Logo নোয়াখালীতে পানি নিষ্কাসন ও খাল খননের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা Logo নৈরাজ্যকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার: তারেক রহমান Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: ছাত্রদল নেতা রবিনের দায়স্বীকার Logo ঢাকাসহ ১১ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত নোয়াখালীতে, ৪ লেন সড়ক থেকে ধরছে মাছ

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নোয়াখালীতে।

বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিকে টানা ভারী বর্ষণে জেলা শহর ও নিম্নাঞ্চলে অধিকাংশ অংশ প্লাবিত হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নোয়াখালী পৌরসভা এলাকাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকা পানির নিচে চলে গেছে। কোথাও কোথাও রিকশা, অটো চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বহু বাসা-বাড়ি, দোকান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও রোগীদের চলাফেরায় মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জেলা শহর ঘুরে দেখা যায় , পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নিচতলায় বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে। ভবনের সামনেও প্রায় এক ফুট পানি জমে রয়েছে। এই পানির মধ্য দিয়েই সেবাপ্রার্থীরা কার্যালয়ে যাতায়াত করছেন। একই চিত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আশপাশেও। চারপাশে থই থই পানি। গণপূর্ত অফিসের সামনের নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক ৪ লেনের সড়কে জাল মেরে মাছ ধরছেন বাসিন্দারা। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের সরকারি আবাসিক এলাকার সড়ক (ফ্ল্যাট রোড) এবং প্রধান সড়কের পাশের বহু দোকানপাট। পানি ঢুকে পড়েছে সড়ক সংলগ্ন দোকানগুলোতে। এতে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে।

জেলা শহরের বাসিন্দারা বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গতকাল বিকেল থেকে টানা বর্ষণে ঘর থেকে বের হওয়াই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। শহরের বেশিরভাগ ড্রেন উপচে পানি রাস্তায় চলে এসেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে পানি দ্রুত নামছে না।

নোয়াখালীর রাস্তায় রাস্তায় এখন মানুষ মাছ ধরছে। গণপূর্ত অফিসের সামনে চার লেনের ব্যস্ত সড়কে জাল ফেলে, ড্রেনের মুখে কারেন্ট জাল বসিয়ে মাছ ধরছে লোকজন। এমন চিত্র কল্পনাও করা কঠিন। শহরের সড়কগুলোর অবস্থা এতটাই করুণ যে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে যায়। গত বছরের বন্যার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পরেও কোনো কার্যকর পরিকল্পনা বা দৃশ্যমান সংস্কার কাজ হয়নি।

জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ তারিখ থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও গতকাল রাতে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এছাড়া সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী এক-দুই দিন এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ থেকে সারাদেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা

দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত নোয়াখালীতে, ৪ লেন সড়ক থেকে ধরছে মাছ

আপডেট সময় ০৯:১৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নোয়াখালীতে।

বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিকে টানা ভারী বর্ষণে জেলা শহর ও নিম্নাঞ্চলে অধিকাংশ অংশ প্লাবিত হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নোয়াখালী পৌরসভা এলাকাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকা পানির নিচে চলে গেছে। কোথাও কোথাও রিকশা, অটো চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বহু বাসা-বাড়ি, দোকান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও রোগীদের চলাফেরায় মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জেলা শহর ঘুরে দেখা যায় , পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নিচতলায় বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে। ভবনের সামনেও প্রায় এক ফুট পানি জমে রয়েছে। এই পানির মধ্য দিয়েই সেবাপ্রার্থীরা কার্যালয়ে যাতায়াত করছেন। একই চিত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আশপাশেও। চারপাশে থই থই পানি। গণপূর্ত অফিসের সামনের নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক ৪ লেনের সড়কে জাল মেরে মাছ ধরছেন বাসিন্দারা। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের সরকারি আবাসিক এলাকার সড়ক (ফ্ল্যাট রোড) এবং প্রধান সড়কের পাশের বহু দোকানপাট। পানি ঢুকে পড়েছে সড়ক সংলগ্ন দোকানগুলোতে। এতে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে।

জেলা শহরের বাসিন্দারা বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গতকাল বিকেল থেকে টানা বর্ষণে ঘর থেকে বের হওয়াই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। শহরের বেশিরভাগ ড্রেন উপচে পানি রাস্তায় চলে এসেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে পানি দ্রুত নামছে না।

নোয়াখালীর রাস্তায় রাস্তায় এখন মানুষ মাছ ধরছে। গণপূর্ত অফিসের সামনে চার লেনের ব্যস্ত সড়কে জাল ফেলে, ড্রেনের মুখে কারেন্ট জাল বসিয়ে মাছ ধরছে লোকজন। এমন চিত্র কল্পনাও করা কঠিন। শহরের সড়কগুলোর অবস্থা এতটাই করুণ যে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে যায়। গত বছরের বন্যার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পরেও কোনো কার্যকর পরিকল্পনা বা দৃশ্যমান সংস্কার কাজ হয়নি।

জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ তারিখ থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও গতকাল রাতে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এছাড়া সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী এক-দুই দিন এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।