ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের চরম ভোগান্তি

টিকিট কেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, নেই ডাক্তারের দেখা

যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। সময়মতো টিকিট কাটলেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও দেখা মিলছে না চিকিৎসকের। চিকিৎসাসেবার এই অনিয়মে ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা।

ভুক্তভোগী একজন জানান, তার বাবা অসুস্থ হওয়ায় ১৭ জুন সকাল ৯টা ৩ মিনিটে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য টিকিট কেটেছেন। কিন্তু সকাল ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্তও কোনো চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানায় ১১টায় চিকিৎসক আসবেন, পরে আবার জানানো হয় আরও পরে আসবেন। অবশেষে চিকিৎসক আসেন ১১টা ২০ মিনিটে, সহকারী আসেন ১১টা ১৪ মিনিটে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, টিকিট কাটার পরও রোগীরা কেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করবে? চিকিৎসকের সহকারী যদি আগেভাগে এসে টিকিট সংগ্রহ করে সিরিয়াল ঠিক রাখতেন, তাহলে অন্তত সিরিয়াল অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসাসেবা দেওয়া যেত। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। যিনি আগে টিকিট জমা দেন তাকে দেখা হচ্ছে শেষে, আর যিনি পরে আসেন তিনিই চিকিৎসা নিচ্ছেন আগে।

স্থানীয় একাধিক রোগী অভিযোগ করেন, সহকারীরা কোনো নিয়ম মানছেন না। সহকারী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন রোগীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—এটা কি সরকারি স্বাস্থ্যসেবার নমুনা? গরিব, খেটে খাওয়া মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল, আর সেখানে যদি চিকিৎসা পেতে এই ভোগান্তি পোহাতে হয়, তবে তারা কোথায় যাবে?

জনসাধারণের দাবি, এই অনিয়ম দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ভোগান্তির শিকার না হয়।

ট্যাগস :

পাল্টা আঘাতে বিপর্যস্ত ইসরাইল

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের চরম ভোগান্তি

টিকিট কেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, নেই ডাক্তারের দেখা

আপডেট সময় ০৭:৩১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। সময়মতো টিকিট কাটলেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও দেখা মিলছে না চিকিৎসকের। চিকিৎসাসেবার এই অনিয়মে ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা।

ভুক্তভোগী একজন জানান, তার বাবা অসুস্থ হওয়ায় ১৭ জুন সকাল ৯টা ৩ মিনিটে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য টিকিট কেটেছেন। কিন্তু সকাল ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্তও কোনো চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানায় ১১টায় চিকিৎসক আসবেন, পরে আবার জানানো হয় আরও পরে আসবেন। অবশেষে চিকিৎসক আসেন ১১টা ২০ মিনিটে, সহকারী আসেন ১১টা ১৪ মিনিটে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, টিকিট কাটার পরও রোগীরা কেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করবে? চিকিৎসকের সহকারী যদি আগেভাগে এসে টিকিট সংগ্রহ করে সিরিয়াল ঠিক রাখতেন, তাহলে অন্তত সিরিয়াল অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসাসেবা দেওয়া যেত। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। যিনি আগে টিকিট জমা দেন তাকে দেখা হচ্ছে শেষে, আর যিনি পরে আসেন তিনিই চিকিৎসা নিচ্ছেন আগে।

স্থানীয় একাধিক রোগী অভিযোগ করেন, সহকারীরা কোনো নিয়ম মানছেন না। সহকারী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন রোগীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—এটা কি সরকারি স্বাস্থ্যসেবার নমুনা? গরিব, খেটে খাওয়া মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল, আর সেখানে যদি চিকিৎসা পেতে এই ভোগান্তি পোহাতে হয়, তবে তারা কোথায় যাবে?

জনসাধারণের দাবি, এই অনিয়ম দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ভোগান্তির শিকার না হয়।