ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আইআরজিসির স্থলবাহিনীর নতুন কমান্ডার মোহাম্মদ কারামি Logo মুশফিকের সেঞ্চুরি রেকর্ড ধামাকা Logo এখন থেকে ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি থাকবে Logo গুমের শিকার ব্যক্তিদের ৪ পরিণতি হতো, যেসব ‘ফাঁদে’আ’লীগ সরকার Logo ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের বিমান হামলা Logo কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু Logo জুলাই সনদ,রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে,সেলিম উদ্দিন Logo অবিলম্বে জুলাই সনদ প্রণয়ন, রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে-মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন Logo শেখ হাসিনার আদালত অবমাননার মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ Logo ভিক্টোরিয়ার ছায়ায় সিয়ামের স্বপ্ন: এক গ্লাস লেবুর শরবতে জীবনের গল্প

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে ছাইয়ের স্তূপ হয়েছে ইসরাইলের শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান

ঢাকাভয়েস ডেক্স:রেহোভত, ইসরাইল। রাত ৩টা। সবাই তখন গভীর ঘুমে। হঠাৎ মোবাইলের স্ক্রিনে জ্বলে ওঠে সতর্কবার্তা- ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এগিয়ে আসছে। কয়েক মিনিটের মাথায় সাইরেন বেজে ওঠে। এরপর দুই দফা বিস্ফোরণ। চারদিক কেঁপে ওঠে। শেল্টারের ভেতরেও যেন ভূমিকম্প। এক নিঃশব্দ আতঙ্কে কাঁপতে থাকে পুরো ওয়েইৎজম্যান ইনস্টিটিউট।

ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজের গিও’দন লেভের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রফেসর এলদাদ সাহোর গত ২২ বছর ধরে এই ইনস্টিটিউটের মলিকিউলার সেল বায়োলজির গবেষক। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দে মনে হচ্ছিল ছাদ ভেঙে পড়বে। আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতর বসে থেকেও বুঝে গেলাম, বাইরে কিছু ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেছে। কিছুক্ষণ পর হোয়াটসঅ্যাপে আসতে শুরু করে ছবি। তার নিজের ল্যাব, যেটাতে তিনি প্রতিদিন প্রবেশ করেন, সেটাই দাউদাউ করে জ্বলছে।

সকালে যখন সাহোর তার জামাই ও নাতিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ল্যাবটিকে চিনতে সময় লাগল। তিনি বলেন, মনে হচ্ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে আছি। জানালার কাঁচের টুকরো, ছাদের ধ্বংসাবশেষ আর ভস্ম- চারপাশে শুধু ধ্বংসের নিদর্শন। তিনটি তলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। ল্যাবের কোনো চিহ্নই আর নেই।

এতকাল ইহুদিবাদীরা গাজা বা লেবাননে এমন দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে। তেল আবিবের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এমন সব ছবিতে ভরে গেছে ইহুদিবাদী মাধ্যমসহ দুনিয়ার সংবাদ জগত। এবারে পাশার দান উল্টে গেছে। যুদ্ধ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ইহুদিবাদীদের আঙিনায়। ইসরাইল-বিষয়ক বিশ্লেষক মুহান্নাদ মুস্তাফা বলেন, ‘ইসরাইলি সমাজ আজ অভূতপূর্ব এক চোটের মধ্যে পড়েছে। ইরানে হামলার পর প্রথমে যারা উল্লসিত হয়েছিল, তারা এখন যুদ্ধের বাস্তব চেহারা দেখছে। দেখছে এক দুঃস্বপ্ন।’
তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের অভ্যন্তরে আগে কখনো এত বড় ধ্বংস দেখা যায়নি। ইসরাইল বরাবর যুদ্ধ করেছে অন্যের ভূমিতে। গাজা, লেবানন কিংবা সিরিয়ায় তারা যুদ্ধ করেছে, নিজের আঙিনায় নয়। কিন্তু ইরান যেভাবে তাদের নিজস্ব মাটিতে ধ্বংসের স্বাদ দিচ্ছে, তা ইসরাইলি জনগণের কাছে ভীতিকর।’

সাহোরের গবেষণার বিষয় ছিল হৃদরোগ ও হার্ট ফেইলিউর। তিনি ও তার দল বহু বছর ধরে মানবদেহ ও প্রাণী উভয় থেকেই হাজার হাজার হৃদযন্ত্রের টিস্যু স্যাম্পল সংগ্রহ করেছিলেন। এখন সবই ধ্বংস। তার কণ্ঠ ভার হয়ে আসে, এই জিনিসগুলো নতুন করে তৈরি করা যায় না। শুধু মাইক্রোস্কোপই না, ছবি, হিস্টোলজিক্যাল স্লাইড, ডেটা- যা ছাড়া কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা গ্রহণযোগ্য নয় সব শেষ হয়ে গেছে। তবে এ সব গবেষণার ফাঁকে জৈবযুদ্ধের কার্যকারিতাও ‘চেখে’ দেখা হতো কি-না সে প্রশ্নের উত্তরে নীরব ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম।

আরেক গবেষক প্রফেসর এরান সেগাল, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের কম্পিউটেশনাল বায়োলজির খ্যাতনামা বিজ্ঞানী। তার ল্যাবও এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সেখানে ২০ বছর ধরে ৫০ জনের একটি দল নিয়ে কাজ করছিলেন ব্যক্তিগত জিনতত্ত্বের ওপর, যেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানবস্বাস্থ্যের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারত। এ বিদ্যা যে যুদ্ধে কাজে লাগতে পারে সে কথা ভুলেও বলা হয়নি।

যখন তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন ল্যাব ভবনের একটি অংশ পুরো ধ্বংস হয়েছে এবং অন্য অংশে আগুন ধরে গেছে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ফ্রিজার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তবু ভিতরে রাখা হাজারো বায়োলজিকাল স্যাম্পল এখনো গলে যায়নি। তিনি দ্রুত সেগুলো উদ্ধার করে আশপাশের বিজ্ঞানীদের ল্যাবে নিয়ে যান। কিন্তু যখন পাশের ভবনে থাকা দ্বিতীয় ফ্রিজারটা বের করতে গিয়ে তারা ট্র্যাক্টর দিয়ে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করছিলেন, তখন আবারো সাইরেন বেজে ওঠে। ‘আমরা ফ্রিজারটা বন্ধ করে সোজা ছুটলাম নিরাপদ আশ্রয়ে,’ বলেন সেগাল। ‘শেষ মুহূর্তে কিছু স্যাম্পল বাঁচাতে পেরেছিলাম।’

এসব ল্যাব ছিল একেকটা জ্যান্ত স্বপ্ন, যেগুলো বিজ্ঞানীদের জীবনভর পরিশ্রমে তৈরি হয়েছিল। মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগে কর্মরত প্রফেসর ওরেন শুলদিনার বলেন, ‘আমাদের কিছুই বাঁচেনি। যেন ল্যাবটা বাতাসে মিলিয়ে গেছে। আমাদের ফ্রোজেন ডিএনএ, কোষ, ১০ হাজারের বেশি জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড মাছি- সব গেছে।’

দখলদার শাসকগোষ্ঠীর বিজ্ঞানীরা ফিলিস্তিনির ভূমি দখল করে সেখানে তাদের ‘জ্যান্ত স্বপ্ন’ নিয়ে বিভোর ছিল এতকাল। নিজেরা আগ বাড়িয়ে ইরানের ওপর হামলা করে এবারে দখলীকৃত সে ঘরের দুয়ারে দুঃস্বপ্নের জোয়ার বয়ে এনেছে। মুখে তারা একবারো সে কথা বলছে না।

ইরান-ইসরাইল সংঘাতের এ অধ্যায়ে ক্ষেপণাস্ত্রের গন্তব্য ছিল শুধু একখণ্ড ভবন নয়- সেগুলো ছুটে এসেছে যুগের পর যুগের গবেষণা, মানুষের আশা, মানবতার কল্যাণের স্বপ্নকে লক্ষ্য করে। এই সংঘাতের সূচনা করেছে ইসরাইল। তার চড়া দাম দিতে হবে তেল আবিবকে। শান্তিতে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ছাই হয়ে গেলেও, তার ভেতর থেকেই উঠে দাঁড়াচ্ছে নয়া আশাবাদ। নয়া জামানা। আগ্রাসী শক্তিকে ঠেকিয়ে যাওয়ার লড়াইকে মানবতার যুদ্ধ বলতে আজ যারা দ্বিধা করবে তারাই মেরুদণ্ড বন্ধক দেয়া দ্বিপদী জীব!

 

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক

আইআরজিসির স্থলবাহিনীর নতুন কমান্ডার মোহাম্মদ কারামি

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে ছাইয়ের স্তূপ হয়েছে ইসরাইলের শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় ০১:২৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ঢাকাভয়েস ডেক্স:রেহোভত, ইসরাইল। রাত ৩টা। সবাই তখন গভীর ঘুমে। হঠাৎ মোবাইলের স্ক্রিনে জ্বলে ওঠে সতর্কবার্তা- ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এগিয়ে আসছে। কয়েক মিনিটের মাথায় সাইরেন বেজে ওঠে। এরপর দুই দফা বিস্ফোরণ। চারদিক কেঁপে ওঠে। শেল্টারের ভেতরেও যেন ভূমিকম্প। এক নিঃশব্দ আতঙ্কে কাঁপতে থাকে পুরো ওয়েইৎজম্যান ইনস্টিটিউট।

ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজের গিও’দন লেভের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রফেসর এলদাদ সাহোর গত ২২ বছর ধরে এই ইনস্টিটিউটের মলিকিউলার সেল বায়োলজির গবেষক। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দে মনে হচ্ছিল ছাদ ভেঙে পড়বে। আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতর বসে থেকেও বুঝে গেলাম, বাইরে কিছু ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেছে। কিছুক্ষণ পর হোয়াটসঅ্যাপে আসতে শুরু করে ছবি। তার নিজের ল্যাব, যেটাতে তিনি প্রতিদিন প্রবেশ করেন, সেটাই দাউদাউ করে জ্বলছে।

সকালে যখন সাহোর তার জামাই ও নাতিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ল্যাবটিকে চিনতে সময় লাগল। তিনি বলেন, মনে হচ্ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে আছি। জানালার কাঁচের টুকরো, ছাদের ধ্বংসাবশেষ আর ভস্ম- চারপাশে শুধু ধ্বংসের নিদর্শন। তিনটি তলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। ল্যাবের কোনো চিহ্নই আর নেই।

এতকাল ইহুদিবাদীরা গাজা বা লেবাননে এমন দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে। তেল আবিবের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এমন সব ছবিতে ভরে গেছে ইহুদিবাদী মাধ্যমসহ দুনিয়ার সংবাদ জগত। এবারে পাশার দান উল্টে গেছে। যুদ্ধ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ইহুদিবাদীদের আঙিনায়। ইসরাইল-বিষয়ক বিশ্লেষক মুহান্নাদ মুস্তাফা বলেন, ‘ইসরাইলি সমাজ আজ অভূতপূর্ব এক চোটের মধ্যে পড়েছে। ইরানে হামলার পর প্রথমে যারা উল্লসিত হয়েছিল, তারা এখন যুদ্ধের বাস্তব চেহারা দেখছে। দেখছে এক দুঃস্বপ্ন।’
তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের অভ্যন্তরে আগে কখনো এত বড় ধ্বংস দেখা যায়নি। ইসরাইল বরাবর যুদ্ধ করেছে অন্যের ভূমিতে। গাজা, লেবানন কিংবা সিরিয়ায় তারা যুদ্ধ করেছে, নিজের আঙিনায় নয়। কিন্তু ইরান যেভাবে তাদের নিজস্ব মাটিতে ধ্বংসের স্বাদ দিচ্ছে, তা ইসরাইলি জনগণের কাছে ভীতিকর।’

সাহোরের গবেষণার বিষয় ছিল হৃদরোগ ও হার্ট ফেইলিউর। তিনি ও তার দল বহু বছর ধরে মানবদেহ ও প্রাণী উভয় থেকেই হাজার হাজার হৃদযন্ত্রের টিস্যু স্যাম্পল সংগ্রহ করেছিলেন। এখন সবই ধ্বংস। তার কণ্ঠ ভার হয়ে আসে, এই জিনিসগুলো নতুন করে তৈরি করা যায় না। শুধু মাইক্রোস্কোপই না, ছবি, হিস্টোলজিক্যাল স্লাইড, ডেটা- যা ছাড়া কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা গ্রহণযোগ্য নয় সব শেষ হয়ে গেছে। তবে এ সব গবেষণার ফাঁকে জৈবযুদ্ধের কার্যকারিতাও ‘চেখে’ দেখা হতো কি-না সে প্রশ্নের উত্তরে নীরব ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম।

আরেক গবেষক প্রফেসর এরান সেগাল, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের কম্পিউটেশনাল বায়োলজির খ্যাতনামা বিজ্ঞানী। তার ল্যাবও এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সেখানে ২০ বছর ধরে ৫০ জনের একটি দল নিয়ে কাজ করছিলেন ব্যক্তিগত জিনতত্ত্বের ওপর, যেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানবস্বাস্থ্যের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারত। এ বিদ্যা যে যুদ্ধে কাজে লাগতে পারে সে কথা ভুলেও বলা হয়নি।

যখন তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন ল্যাব ভবনের একটি অংশ পুরো ধ্বংস হয়েছে এবং অন্য অংশে আগুন ধরে গেছে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ফ্রিজার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তবু ভিতরে রাখা হাজারো বায়োলজিকাল স্যাম্পল এখনো গলে যায়নি। তিনি দ্রুত সেগুলো উদ্ধার করে আশপাশের বিজ্ঞানীদের ল্যাবে নিয়ে যান। কিন্তু যখন পাশের ভবনে থাকা দ্বিতীয় ফ্রিজারটা বের করতে গিয়ে তারা ট্র্যাক্টর দিয়ে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করছিলেন, তখন আবারো সাইরেন বেজে ওঠে। ‘আমরা ফ্রিজারটা বন্ধ করে সোজা ছুটলাম নিরাপদ আশ্রয়ে,’ বলেন সেগাল। ‘শেষ মুহূর্তে কিছু স্যাম্পল বাঁচাতে পেরেছিলাম।’

এসব ল্যাব ছিল একেকটা জ্যান্ত স্বপ্ন, যেগুলো বিজ্ঞানীদের জীবনভর পরিশ্রমে তৈরি হয়েছিল। মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগে কর্মরত প্রফেসর ওরেন শুলদিনার বলেন, ‘আমাদের কিছুই বাঁচেনি। যেন ল্যাবটা বাতাসে মিলিয়ে গেছে। আমাদের ফ্রোজেন ডিএনএ, কোষ, ১০ হাজারের বেশি জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড মাছি- সব গেছে।’

দখলদার শাসকগোষ্ঠীর বিজ্ঞানীরা ফিলিস্তিনির ভূমি দখল করে সেখানে তাদের ‘জ্যান্ত স্বপ্ন’ নিয়ে বিভোর ছিল এতকাল। নিজেরা আগ বাড়িয়ে ইরানের ওপর হামলা করে এবারে দখলীকৃত সে ঘরের দুয়ারে দুঃস্বপ্নের জোয়ার বয়ে এনেছে। মুখে তারা একবারো সে কথা বলছে না।

ইরান-ইসরাইল সংঘাতের এ অধ্যায়ে ক্ষেপণাস্ত্রের গন্তব্য ছিল শুধু একখণ্ড ভবন নয়- সেগুলো ছুটে এসেছে যুগের পর যুগের গবেষণা, মানুষের আশা, মানবতার কল্যাণের স্বপ্নকে লক্ষ্য করে। এই সংঘাতের সূচনা করেছে ইসরাইল। তার চড়া দাম দিতে হবে তেল আবিবকে। শান্তিতে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ছাই হয়ে গেলেও, তার ভেতর থেকেই উঠে দাঁড়াচ্ছে নয়া আশাবাদ। নয়া জামানা। আগ্রাসী শক্তিকে ঠেকিয়ে যাওয়ার লড়াইকে মানবতার যুদ্ধ বলতে আজ যারা দ্বিধা করবে তারাই মেরুদণ্ড বন্ধক দেয়া দ্বিপদী জীব!

 

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক