ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবিপ্রবি তে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি: পাকা রাস্তার দাবিতে এলাকাবাসীর আকুতি Logo আমীরে জামায়াত কে ফোন করেন প্রধান উপদেষ্টা, দিয়েছেন আশ্বাস: নায়েবে আমীর তাহের Logo মিথ‍্যা, চরম মিথ্যা ও জঘন্য মিথ্যা : তাজনুভা জাবীন Logo অভিমান ভুলে ঐকমত্য কমিশনের সভায় জামায়াত Logo নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান, প্রমাণ মিলেছে অনিয়মের Logo এই ধরনের মূর্খ উপদেষ্টা দেশের ইতিহাসে কেউ কোনোদিন দেখেনি : ইশরাক Logo গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে মুশফিকের বিশ্বরেকর্ড Logo ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে হিজবুল্লাহর ভূমিকা কী Logo ঐকমত্য কমিশনের সাথে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী

সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি: পাকা রাস্তার দাবিতে এলাকাবাসীর আকুতি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বেংনাই গ্রামের শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গ্রামীণ এই কাঁচা রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ কিলোমিটার। ভাঙা ব্রিজ থেকে শুরু করে নতুন বাজার পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা এবং বর্ষা মৌসুমে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করে বেংনাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী। এছাড়া বেংনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিত্রতেঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাটিকোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরও প্রায় ৬০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থীও এই দুর্ভোগের শিকার।

বেংনাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকার এই রাস্তার উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়নি। প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী এ রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে। কাদায় স্কুল ড্রেস নষ্ট হওয়ার কারণে অনেকেই উপস্থিত হতে পারে না। অন্তত সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে এই রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ প্রয়োজন।”

বেংনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, “আমার স্কুলসহ মিত্রতেঘরি ও মাটিকোরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিশুদের প্রতিদিনই কাদা-পানিতে পড়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে।”

বেংনাই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লাদেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তা না থাকায় অনেক সময় বৃষ্টির কারণে আমরা স্কুলে যেতে পারি না। সরকারি স্কুলের রাস্তাও যদি কাঁচা থাকে, তাহলে এর চেয়ে দু:খের বিষয় আর কি হতে পারে?”

এলাকার পক্ষ থেকে শামীম রেজা বলেন,
“এই এলাকায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রায় ১২ হাজার মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। বহুবার জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বৈষম্যহীন দেশের জন্য আন্দোলন করে আমরাই এখন উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।”

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী রবিউল আলম জানান, “আমরা ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি। পরবর্তী ধাপে রাস্তাটি উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।”

বেহাল এই রাস্তাটি নিয়ে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আহ্বান আর শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

ট্যাগস :

পাবিপ্রবি তে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি: পাকা রাস্তার দাবিতে এলাকাবাসীর আকুতি

আপডেট সময় ০৭:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বেংনাই গ্রামের শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গ্রামীণ এই কাঁচা রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ কিলোমিটার। ভাঙা ব্রিজ থেকে শুরু করে নতুন বাজার পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা এবং বর্ষা মৌসুমে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করে বেংনাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী। এছাড়া বেংনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিত্রতেঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাটিকোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরও প্রায় ৬০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থীও এই দুর্ভোগের শিকার।

বেংনাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকার এই রাস্তার উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়নি। প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী এ রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে। কাদায় স্কুল ড্রেস নষ্ট হওয়ার কারণে অনেকেই উপস্থিত হতে পারে না। অন্তত সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে এই রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ প্রয়োজন।”

বেংনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, “আমার স্কুলসহ মিত্রতেঘরি ও মাটিকোরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিশুদের প্রতিদিনই কাদা-পানিতে পড়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে।”

বেংনাই উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লাদেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তা না থাকায় অনেক সময় বৃষ্টির কারণে আমরা স্কুলে যেতে পারি না। সরকারি স্কুলের রাস্তাও যদি কাঁচা থাকে, তাহলে এর চেয়ে দু:খের বিষয় আর কি হতে পারে?”

এলাকার পক্ষ থেকে শামীম রেজা বলেন,
“এই এলাকায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রায় ১২ হাজার মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। বহুবার জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বৈষম্যহীন দেশের জন্য আন্দোলন করে আমরাই এখন উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।”

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী রবিউল আলম জানান, “আমরা ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি। পরবর্তী ধাপে রাস্তাটি উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।”

বেহাল এই রাস্তাটি নিয়ে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আহ্বান আর শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।