ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল Logo থমথমে পরিবেশ চবি এলাকার, চলছে ১৪৪ ধারা Logo আজ ইশতেহার ঘোষণা করবে ছাত্রশিবিরের সমর্থিত প্যানেল Logo মনিরুল সিন্ডিকেটের হিসাবে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণ! Logo হল ছাড়ার নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাকৃবি’তে শিক্ষার্থীদের ফের বিক্ষোভ Logo কিশোরগঞ্জে জামায়াতে যোগ দিলেন ৪ হিন্দু ধর্মাবলম্বী Logo অনির্দিষ্টকালের জন্য বাকৃবি বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ Logo চবিতে সংঘর্ষ নিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টার বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন Logo টেকনাফে ৫ লক্ষ টাকার ইয়াবা ও দেশিয় অস্ত্র সহ ১আটক Logo মুন্সিগঞ্জে সেপ্টিকট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে তিন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু  

শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে ইরানের কাছে যুদ্ধবিরতি ভিক্ষা চাওয়া লাগতে পারে

একজন ইসরাইলি নিরাপত্তা ও সামরিক বিশেষজ্ঞ ইসরাইলি নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন যে তারা যেন ইরানের কাছে যুদ্ধবিরতি ভিক্ষা চাওয়ার আগে এই উন্মাদনা বন্ধ করেন।

শুক্রবার তেহরান এবং ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এই আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইরান শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ শুরু করেছে।

মেহর নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরাইলি নিরাপত্তা ও সামরিক বিশেষজ্ঞ ইয়োসি মেলম্যান ইসরাইলি নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন যে তারা যেন তেহরানের কাছে যুদ্ধবিরতি ভিক্ষা চাওয়ার আগে এই উন্মাদনা বন্ধ করেন। মেলম্যান বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকে, অবশেষে ইসরাইল ইরানের কাছে যুদ্ধবিরতি ভিক্ষা চাইতে বাধ্য হবে।’

তিনি আরো লিখেছেন যে এই আনন্দ উচ্ছ্বাস ক্ষণস্থায়ী ছিল। শুক্রবার সকালে আমি নিজেকেই জিজ্ঞাসা করলাম, ‘যুদ্ধে যাওয়া কি সত্যিই প্রয়োজনীয় ছিল, বিশেষ করে ইরানিদের বিরুদ্ধে?’

ইসরাইলি এই বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন, শিয়ারা ঐতিহাসিকভাবে কষ্ট সহ্য করতে প্রস্তুত। আমি তাদের ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতার বিষয়টি স্মরণ করি, যেমনটি তারা ইরাকের সাথে আট বছরের যুদ্ধে নজিরবিহীন ত্যাগের প্রমাণ দেখিয়েছিল। তাই আমি অনুরোধ করছি যে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনুন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাহায্যে চুক্তির মাধ্যমে এই যুদ্ধ উন্মাদনা বন্ধ করুন; অন্যথায় শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে যুদ্ধবিরতির জন্য ভিক্ষা চাইতে হবে এবং ইরান তা প্রত্যাখ্যান করবে।

এদিকে, কায়রো স্কুল অফ পলিটিক্যাল সায়েন্সের সাবেক ডিন ‘আলিয়া আল-মাহদি’ও ইরানের উপর ইসরাইলের আক্রমণের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ইরান একটি বৃহৎ দেশ এবং এ দেশটির নাগরিকরা বৈজ্ঞানিক সকল ক্ষেত্রে পারদর্শী।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইসরাইল সরকারকে এই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা, ফেতনা, দাঙ্গা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ব্রিটেন ও পশ্চিমারা এই অঞ্চলে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র তৈরি করেছিল যার উদ্দশ্যে ছিল তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ এ অঞ্চলের ওপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য।’

আরেকজন মিসরীয় বিশ্লেষক কামাল হাবিব বলেছেন, ইরানের জন্য বড় সুযোগ এসেছে ইসরাইলের উপর মারাত্মক আঘাত হানার, যারা মনে করে যে তাদের শর্ত আরোপ করার এবং এই অঞ্চলে দখলদার হিসেবে উপস্থিত থাকার ক্ষমতা একমাত্র তাদেরই রয়েছে। যদি ইসরাইল এবারের মতো বেঁচে যায়, তাহলে আমরা আমাদের দেশে থাকতে পারব না। আমাদের শান্তি ও মর্যাদার একমাত্র শর্ত হলো ইসরাইলের পরাজয় ও ধ্বংস।

এই বিশ্লেষক ইসরাইলের সাথে বর্তমান যুদ্ধে ইরানের প্রতি আরব বিশ্বের পূর্ণ সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের প্রধান শত্রু হলো ইসরাইল।

আরেকজন মিসরীয় বিশ্লেষক আবদেল নবী ফারাজও বলেন, আমরা বর্তমানে ইসরাইলি ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে ইরানের কাছে যুদ্ধবিরতি ভিক্ষা চাওয়া লাগতে পারে

আপডেট সময় ০৮:১৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

একজন ইসরাইলি নিরাপত্তা ও সামরিক বিশেষজ্ঞ ইসরাইলি নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন যে তারা যেন ইরানের কাছে যুদ্ধবিরতি ভিক্ষা চাওয়ার আগে এই উন্মাদনা বন্ধ করেন।

শুক্রবার তেহরান এবং ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এই আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইরান শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ শুরু করেছে।

মেহর নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরাইলি নিরাপত্তা ও সামরিক বিশেষজ্ঞ ইয়োসি মেলম্যান ইসরাইলি নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন যে তারা যেন তেহরানের কাছে যুদ্ধবিরতি ভিক্ষা চাওয়ার আগে এই উন্মাদনা বন্ধ করেন। মেলম্যান বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকে, অবশেষে ইসরাইল ইরানের কাছে যুদ্ধবিরতি ভিক্ষা চাইতে বাধ্য হবে।’

তিনি আরো লিখেছেন যে এই আনন্দ উচ্ছ্বাস ক্ষণস্থায়ী ছিল। শুক্রবার সকালে আমি নিজেকেই জিজ্ঞাসা করলাম, ‘যুদ্ধে যাওয়া কি সত্যিই প্রয়োজনীয় ছিল, বিশেষ করে ইরানিদের বিরুদ্ধে?’

ইসরাইলি এই বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন, শিয়ারা ঐতিহাসিকভাবে কষ্ট সহ্য করতে প্রস্তুত। আমি তাদের ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতার বিষয়টি স্মরণ করি, যেমনটি তারা ইরাকের সাথে আট বছরের যুদ্ধে নজিরবিহীন ত্যাগের প্রমাণ দেখিয়েছিল। তাই আমি অনুরোধ করছি যে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনুন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাহায্যে চুক্তির মাধ্যমে এই যুদ্ধ উন্মাদনা বন্ধ করুন; অন্যথায় শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে যুদ্ধবিরতির জন্য ভিক্ষা চাইতে হবে এবং ইরান তা প্রত্যাখ্যান করবে।

এদিকে, কায়রো স্কুল অফ পলিটিক্যাল সায়েন্সের সাবেক ডিন ‘আলিয়া আল-মাহদি’ও ইরানের উপর ইসরাইলের আক্রমণের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ইরান একটি বৃহৎ দেশ এবং এ দেশটির নাগরিকরা বৈজ্ঞানিক সকল ক্ষেত্রে পারদর্শী।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইসরাইল সরকারকে এই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা, ফেতনা, দাঙ্গা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ব্রিটেন ও পশ্চিমারা এই অঞ্চলে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র তৈরি করেছিল যার উদ্দশ্যে ছিল তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ এ অঞ্চলের ওপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য।’

আরেকজন মিসরীয় বিশ্লেষক কামাল হাবিব বলেছেন, ইরানের জন্য বড় সুযোগ এসেছে ইসরাইলের উপর মারাত্মক আঘাত হানার, যারা মনে করে যে তাদের শর্ত আরোপ করার এবং এই অঞ্চলে দখলদার হিসেবে উপস্থিত থাকার ক্ষমতা একমাত্র তাদেরই রয়েছে। যদি ইসরাইল এবারের মতো বেঁচে যায়, তাহলে আমরা আমাদের দেশে থাকতে পারব না। আমাদের শান্তি ও মর্যাদার একমাত্র শর্ত হলো ইসরাইলের পরাজয় ও ধ্বংস।

এই বিশ্লেষক ইসরাইলের সাথে বর্তমান যুদ্ধে ইরানের প্রতি আরব বিশ্বের পূর্ণ সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের প্রধান শত্রু হলো ইসরাইল।

আরেকজন মিসরীয় বিশ্লেষক আবদেল নবী ফারাজও বলেন, আমরা বর্তমানে ইসরাইলি ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছি