জাতীয় ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কজনক দিন এটি। একদলীয় ‘বাকশাল’-এর দর্শন অনুসারে ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন সরকার চারটি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ছাড়া বাকি সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। সাংবাদিক সমাজ প্রতিবছর এ দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র তিন বছর পার হতে না হতেই ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার শেখ মুজিব সংসদে আনে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থী উক্ত সংশোধনীর ফলে জাতির ঘাড়ে চেপে বসে একদলীয় শাসনব্যবস্থা ‘বাকশালের’ জগদ্দল পাথর।
এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছর ১৬ জুন বিতর্কিত বাকশাল সরকার সকল সংবাপত্র বন্ধ করে দেয়। সরকারি প্রচারপত্র হিসেবে ৪টি পত্রিকা সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রকাশ করে। এতে হাজারো সাংবাদিক রাতারাতি বেকার হয়ে দুঃসহ জীবনে পতিত হয়। সংবাদমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর স্বৈরাচার শেখ মুজিবের কন্যা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েও শত শত মিডিয়া হাউস বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে অন্যতম আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি ইত্যাদি।
৫ আগস্ট ২০২৪ ছাত্র-জনতার সরাসরী অংশগ্রহণে সংঘটিত বিপ্লব আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করে বাংলাদেশ নতুন সফর শুরু করেছে। নতুন বাংলাদেশে সংবাদপত্র শতভাগ স্বাধীনতা ভোগ করবে, সেটাই হোক আজকের দিনের প্রত্যাশা।