ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ছাত্রের মুখ চেপে ধরা ডিসি মাসুদের ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি, দাবি ডিএমপির Logo আওয়ামী স্বৈরাচারের চেয়েও এই স্বৈরাচার ভয়াবহ : কাদের সিদ্দিকী Logo কর্ণফুলী নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo ডাকসু নির্বাচনে: উমামা ফাতেমার প্যানেলে ছাত্রলীগের দুই মুখ Logo ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটির তারিখ পরিবর্তন Logo এনসিপিকে বর্জন সহ হাসনাত-সারজিসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম Logo দুবাই প্রিন্সেস শেখা মাহরা-ফ্রেঞ্চ মনটানার বাগদানের ঘোষণা Logo অক্টোবরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু: শেখ বশিরউদ্দীন Logo ‘সকল সরকারই গাদ্দারি করেছে, মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকেই তাকিয়ে আছে’ Logo এত দুর্বল সরকার আগে দেখেছেন? প্রশ্ন মাসুদ কামালের

মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম, সাপের কামড়ে বাঁচতে হলে যেতে হবে ঢাকায়

প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের বসবাস মুন্সীগঞ্জ জেলায়, যা ছয়টি উপজেলা—মুন্সীগঞ্জ সদর, টংগিবাড়ী, সিরাজদিখান, লৌহজং, গজারিয়া এবং শ্রীনগর—নিয়ে গঠিত। তবে এত বড় জনসংখ্যার এই জেলার প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেই কোনো অ্যান্টিভেনম (সাপের বিষের প্রতিষেধক)। ফলে সাপে কাটা রোগীদের বাঁচাতে এখনো নির্ভর করতে হচ্ছে ঢাকার হাসপাতালের ওপর।

সম্প্রতি একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে—১৫ জুন ২০২৫ সকালে সাপে কাটা এক রোগীকে সদর হাসপাতালে আনা হলেও অ্যান্টিভেনম না থাকায় তাকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু ঢাকা পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু ঘটে।

এমন ঘটনা নতুন নয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন,সাপে কাটা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা এখানেই দেওয়া গেলেও অ্যান্টিভেনম না থাকায় কিছুই করার থাকে না। অথচ এটি একটি মৌলিক ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ।

বর্ষা মৌসুমে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সদর হাসপাতালে নেই কোনো অ্যান্টিভেনম। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাজধানী ঢাকার ওপর এত নির্ভরতা একটি স্বাধীন জেলার জন্য লজ্জাজনক এবং অমানবিক।

জেলাবাসীর দাবি,স্থানীয়রা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলছেন—অবিলম্বে সদর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সংরক্ষণ করতে হবে। প্রাণ বাঁচাতে যে ওষুধের দরকার, তা যেন অভাবে না পড়ে — এমনটিই প্রত্যাশা মুন্সীগঞ্জবাসীর।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রের মুখ চেপে ধরা ডিসি মাসুদের ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি, দাবি ডিএমপির

মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম, সাপের কামড়ে বাঁচতে হলে যেতে হবে ঢাকায়

আপডেট সময় ১২:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের বসবাস মুন্সীগঞ্জ জেলায়, যা ছয়টি উপজেলা—মুন্সীগঞ্জ সদর, টংগিবাড়ী, সিরাজদিখান, লৌহজং, গজারিয়া এবং শ্রীনগর—নিয়ে গঠিত। তবে এত বড় জনসংখ্যার এই জেলার প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেই কোনো অ্যান্টিভেনম (সাপের বিষের প্রতিষেধক)। ফলে সাপে কাটা রোগীদের বাঁচাতে এখনো নির্ভর করতে হচ্ছে ঢাকার হাসপাতালের ওপর।

সম্প্রতি একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে—১৫ জুন ২০২৫ সকালে সাপে কাটা এক রোগীকে সদর হাসপাতালে আনা হলেও অ্যান্টিভেনম না থাকায় তাকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু ঢাকা পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু ঘটে।

এমন ঘটনা নতুন নয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন,সাপে কাটা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা এখানেই দেওয়া গেলেও অ্যান্টিভেনম না থাকায় কিছুই করার থাকে না। অথচ এটি একটি মৌলিক ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ।

বর্ষা মৌসুমে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সদর হাসপাতালে নেই কোনো অ্যান্টিভেনম। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাজধানী ঢাকার ওপর এত নির্ভরতা একটি স্বাধীন জেলার জন্য লজ্জাজনক এবং অমানবিক।

জেলাবাসীর দাবি,স্থানীয়রা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলছেন—অবিলম্বে সদর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সংরক্ষণ করতে হবে। প্রাণ বাঁচাতে যে ওষুধের দরকার, তা যেন অভাবে না পড়ে — এমনটিই প্রত্যাশা মুন্সীগঞ্জবাসীর।