ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যুবদল নেতা হত্যা ও খতিবের ওপর হামলায় জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা Logo বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছে ড.ফয়জুল হক Logo মিটফোর্ডে হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ Logo এবার ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করলেন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য রাব্বি Logo সিরিয়ার কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিলো দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী Logo মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা Logo হাসিনা কন্যা পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠালো ডব্লিউএইচও Logo বাউফলে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo প্রেমের শাস্তি হিসেবে দম্পতিকে গরুর জোয়ালে বেঁধে হালচাষ Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে ইডেনে বিক্ষোভ, ছাত্রদলকে হল ছাড়ার আলটিমেটাম

কারাগারে গলায় ফাঁস নিলেন আ.লীগ নেতা

 

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাকারী আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান সুজন (৪৫)। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রোববার (১৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে নিজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা সুজন। ঘটনার পরপরই তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুপুর সাড়ে ১২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক সুজনের হাসপাতালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কারাগার সূত্র জানায়, বন্দি হিসেবে সুজন সূর্যমুখী ভবনের একটি সাধারণ কক্ষেই ছিলেন। তার ব‍্যবহৃত গামছা দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, বন্দি সাইদুর রহমান সুজন ডিটেনশনে সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে ছিলেন। সকালে বন্দি সুজন নাস্তাও করেছেন।

ওই কক্ষে তিনজন বন্দি, একজন সম্ভবত আদালতে গিয়েছেন, অপরজন ঘুমিয়ে ছিলেন, এই সুযোগে সুজন নিজের গামছা পেঁচিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে তাকে কারা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান।

আইজি প্রিজন্স জানান, তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনেরও মামলা আছে। তবু কারা অভ্যন্তরে আত্মহত্যার ঘটনা কীভাবে হলো, এই বিষয়ে একটি কমিটি করে তদন্ত করে দেখা হবে। সুজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে প্রকাশ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এ ছাড়া এলাকায় জমি দখলসহ আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবের আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়।

হাসিনার শাসনামলে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজির অভিযোগে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবর এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাইদুর রহমান সুজন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে সুজনও আত্মগোপনে চলে যান। তবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুবদল নেতা হত্যা ও খতিবের ওপর হামলায় জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা

কারাগারে গলায় ফাঁস নিলেন আ.লীগ নেতা

আপডেট সময় ০৮:১৩:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাকারী আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান সুজন (৪৫)। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রোববার (১৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে নিজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা সুজন। ঘটনার পরপরই তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুপুর সাড়ে ১২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক সুজনের হাসপাতালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কারাগার সূত্র জানায়, বন্দি হিসেবে সুজন সূর্যমুখী ভবনের একটি সাধারণ কক্ষেই ছিলেন। তার ব‍্যবহৃত গামছা দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, বন্দি সাইদুর রহমান সুজন ডিটেনশনে সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে ছিলেন। সকালে বন্দি সুজন নাস্তাও করেছেন।

ওই কক্ষে তিনজন বন্দি, একজন সম্ভবত আদালতে গিয়েছেন, অপরজন ঘুমিয়ে ছিলেন, এই সুযোগে সুজন নিজের গামছা পেঁচিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে তাকে কারা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান।

আইজি প্রিজন্স জানান, তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনেরও মামলা আছে। তবু কারা অভ্যন্তরে আত্মহত্যার ঘটনা কীভাবে হলো, এই বিষয়ে একটি কমিটি করে তদন্ত করে দেখা হবে। সুজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে প্রকাশ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এ ছাড়া এলাকায় জমি দখলসহ আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবের আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়।

হাসিনার শাসনামলে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজির অভিযোগে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবর এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাইদুর রহমান সুজন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে সুজনও আত্মগোপনে চলে যান। তবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন।