৪ দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার সকাল পৌনে ১০টায় তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমনাটি লন্ডন সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
চার দিনের এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের স্পিকার ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও গতকাল বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে- অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ড. ইউনূস বলেছেন, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে গেছে। এর একটা অংশ যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছে। তাই এবার যুক্তরাজ্য সফরে বড় ফোকাস দেওয়া হচ্ছে সম্পদ পুনরুদ্ধারে। তিনি উল্লেখ করেন, এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। এর উদাহরণ হিসেবে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সম্পদ জব্দ করার ঘটনা উল্লেখ করেন।
এদিকে এই সফরে অধ্যাপক ইউনূস ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ সম্মাননা গ্রহণ করেন। সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছিলেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।