ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজার দেইর-আল-বালাহ শহরে বিপুল পরিমাণ ট্যাংক মোতায়েন Logo মাইলস্টোন ট্যাজেডি: শিশু আফসান ওহি সুস্থ থাকলে ও এখনো নিখোঁজ তার মা আফসানা প্রিয়া Logo রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ Logo বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের ৫০ লক্ষ টাকা চিকিৎসা সহায়তা জামায়াতের Logo একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না : আলী রীয়াজ Logo বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের তালিকা প্রস্তুত করার আহব্বান জামায়াতের Logo শিক্ষা ও আইন উপদেষ্টা মাইলস্টোনে অবরুদ্ধ, সাথে আছেন প্রেস সচিব Logo সমাবেশে নিহত রংপুরের শাহআলমের বাসায় যাচ্ছেন আমীরে জামায়াত Logo বার্ন ইউনিটে যাদের অভিভাবক পাওয়া যাচ্ছে না,সবাই জীবিত Logo চাঁদাবাজি প্রতিবাদ করায় ছাত্রশিবির কর্মী ও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলা আহত ২২, গুলিবিদ্ধ ৩

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা জমার নির্দেশ

চট্টগ্রামে অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর মূল সীমানা বিশেষ দলের মাধ্যমে জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে নদীর জায়গা দখলকারীদের তালিকাও দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়া ও বোয়ালখালী এলাকায় অবস্থিত নদীর সীমানায় মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসককে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিনজন আইনজীবী ১২ নভেম্বর ওই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নদী রক্ষার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এ ছাড়া কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে স্থায়ী স্থাপনা, মাটি ভরাট ও দখল অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

পরিবেশ সচিব, পানি উন্নয়ন সচিব, পরিকল্পনা সচিব, ভূমি সচিব, অর্থ সচিব, নৌপরিবহন সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজার দেইর-আল-বালাহ শহরে বিপুল পরিমাণ ট্যাংক মোতায়েন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা জমার নির্দেশ

আপডেট সময় ০২:৫৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামে অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর মূল সীমানা বিশেষ দলের মাধ্যমে জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে নদীর জায়গা দখলকারীদের তালিকাও দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়া ও বোয়ালখালী এলাকায় অবস্থিত নদীর সীমানায় মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসককে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিনজন আইনজীবী ১২ নভেম্বর ওই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নদী রক্ষার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এ ছাড়া কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে স্থায়ী স্থাপনা, মাটি ভরাট ও দখল অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

পরিবেশ সচিব, পানি উন্নয়ন সচিব, পরিকল্পনা সচিব, ভূমি সচিব, অর্থ সচিব, নৌপরিবহন সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।