নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুডিরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়খালী গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর হারানো কৃষক কেশব চন্দ্র মজুমদারকে একটি টিনশেড ঘর উপহার দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলের পক্ষ থেকে ঘরটি হস্তান্তর করেন নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক।
স্থানীয় সময় ১১ জুন বিকাল ৪টায় ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরটি হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি গভীর রাতে কৃষক কেশব চন্দ্র মজুমদারের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তার ঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায় এবং আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত হন তার বাবা নিতাই চন্দ্র মজুমদার, মা মিলন বালা এবং একটি গবাদি পশু।
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দলটির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। ১৫ মার্চ, জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী শাহ মাহফুজুল হক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়িতে গিয়ে ঈদের আগে একটি ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, জামায়াতে ইসলামীর তত্ত্বাবধানে এবং সহযোগিতায় ঘরটি নির্মিত হয়।
ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক, হাতিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার বোরহানুল ইসলাম, ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আশরাফুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি আশিকুল ইসলাম, হাতিয়া আদর্শ থানা শিবির সেক্রেটারি আবদুল ওহাব বাবুল ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কেশব চন্দ্র মজুমদার বলেন, “দীর্ঘ সময় আমরা খোলা আকাশের নিচে ছিলাম। নিজের ঘর নির্মাণের সামর্থ্য ছিল না। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।”
এ সময় পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য শিক্ষা সহায়তাও প্রদান করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জামায়াতে ইসলামীর এই মানবিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করেন।