লালপুরে বৈধ বালু ঘাটে চাঁদাবাজি ও হয়রানি প্রশাসনের মদদে একটি দুর্বৃত্ত চক্রের দৌরাত্ম্য এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ জুন বৃহঃবার দুপুর সাড়ে ১২ ঘটিকায় মোল্লা ট্রেডার্স (বৈধ বালু ইজারাদার) এর পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব পাবনায় আয়োজিত এই সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা গভীর উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতার বাস্তবতা তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের অবগত করেন মোল্লা ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রায় ৯কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে বালু মহাল ইজারা নিয়েছি। কিন্তু ইজারা নেওয়ার পর থেকেই আমরা চরমবাধা, হয়রানি ও ভয়ংকর চাঁদাবাজ চক্রের কবলে পড়ে গেছি।
সংবাদ সম্মেলনে হেলাল উদ্দিন বলেন: ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু, তার ভাই মেহেদী হাসান এবং সুলতান আলী বিশ্বাস টনি একটি চাঁদাবাজ চক্র গড়ে তুলেছে, যারা প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছে। আমরা এতে রাজি না হওয়ার শুরু হয় বিভিন্ন রকম ঘড়যন্ত্র, ভয়ভীতি ও নিরীহ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাজানো অস্ত্র মামলা। এই চক্রকে সহায়তা করছে স্থানীয় কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্য, বিশেষ করে সদ্য যোগদান হওয়া ঈশ্বরদী থানার ওসি। ওসির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে। নিরস্ত্র শ্রমিকদের ধরে তাদের হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে মামলা সাজানো হয়, এবং বৈধ নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত করা হয়। নৌপথে হয়রানি ও পুলিশ পাহারাদারি ফি নামে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। বৈধ বালু পরিবহন করা হলেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন এসব দেখেও নিরব ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরো বলেন: আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, কিন্তু প্রশাসনের মদদে দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আশা করি, গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবি করেন। তা হলো: ১. চাঁদাবাজ চক্র এবং পুলিশের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ সদস্যদের বিরুদ্ধে স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত পরিচালনা করতে হবে। ২. বৈধ ইজারাদার ও সাধারণ শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ৩. সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ৪. ভবিষ্যতে যেন কেউ বৈধভাবে ব্যবসা করতে গিয়ে এভাবে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।