ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বরিশালের সড়ক দূর্ঘটনায় জামায়াত নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু Logo নীলফামারীতে শিবিরের উদ্যোগে এসএসসি-দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo গ্রেড ও বেতন নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় সুখবর Logo মার্কিন অস্ত্র ও বিমান কেনার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে ভারত Logo বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে পূর্ব তিমুরকে ৮ গোলে হারাল বাংলাদেশ Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার চেয়ে জবি সাংবাদিক সমিতির মানববন্ধন Logo জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে :মেজর হাফিজ Logo ফুটপাতে পড়ে থাকা ব্যাগে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির কয়েক টুকরো মরদেহ Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

এ টি এম আজহারুলকে রংপুর-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

  • মোশারফ
  • আপডেট সময় ০৫:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • 136

সদ্য মুক্তি পাওয়া নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। তাকে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে তাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত।

আজ বৃহস্পতিবার রংপুরের তারাগঞ্জে এক সমাবেশ থেকে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হালিম।

তারাগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘যারা বলেছিল অমুকের বেটি দেশ ছেড়ে পালায় না, তারাই আজ পালিয়েছে।

তাদের ঠিকানা অন্যখানে, একটু শব্দ হলেই তারা সেখানে পালিয়ে যায়। যাদের ঠিকানা অন্যখানে তাদের দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কোনো উপকার সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রংপুরের তারাগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর শোকরানা সমাবেশ ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ টি এম আজহার এসব কথা বলেন। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের) মানুষের খেদমত করতে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ভোট চান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বিগত বছরে আওয়ামী লীগের জুলুম-অত্যাচারে শুধু জামায়াতে ইসলামী ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যারাই মতের বিপক্ষে গেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামের নেতারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেও এ দেশ ছেড়ে পালায়নি। যারা জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে তারাই পালিয়েছে।’

এ টি এম আজহার বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যেভাবেই জড়িত সরকারকে জানাতে চাই তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।

তা না হলে বাংলাদেশ আইনের শাসন থাকবে না। আজকে মানুষ আদালতকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। আগে আদালত দলীয়ভাবে চলত। এখন আদালত দলীয়মুক্ত হয়েছে। আমার তো রায় হয়ে গিয়েছিল শুধু ফাঁসি কার্যকর করা বাকি।

কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি মুক্ত হলাম। আর আমাকে ফাঁসির আসামি হিসেবে ঝোলানোর চেষ্টা করল যে বিচারপতিরা কোথায় আজকে তারা। তাদের আজ খুঁজে পাওয়া যায় না।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনি জড়িত ছিলেন না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আজ আমি মুক্ত ও স্বাধীন। আমি আপনাদের কাছে বলতে চাই, যে অপরাধে আমাকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর কসম সে অপরাধী আমি সামান্যতম জড়িত ছিলাম না। আমাকে অন্যায়ভাবে করা ফাঁসানো হয়েছে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালের সড়ক দূর্ঘটনায় জামায়াত নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু

এ টি এম আজহারুলকে রংপুর-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

আপডেট সময় ০৫:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

সদ্য মুক্তি পাওয়া নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। তাকে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে তাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত।

আজ বৃহস্পতিবার রংপুরের তারাগঞ্জে এক সমাবেশ থেকে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হালিম।

তারাগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘যারা বলেছিল অমুকের বেটি দেশ ছেড়ে পালায় না, তারাই আজ পালিয়েছে।

তাদের ঠিকানা অন্যখানে, একটু শব্দ হলেই তারা সেখানে পালিয়ে যায়। যাদের ঠিকানা অন্যখানে তাদের দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কোনো উপকার সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রংপুরের তারাগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর শোকরানা সমাবেশ ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ টি এম আজহার এসব কথা বলেন। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের) মানুষের খেদমত করতে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ভোট চান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বিগত বছরে আওয়ামী লীগের জুলুম-অত্যাচারে শুধু জামায়াতে ইসলামী ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যারাই মতের বিপক্ষে গেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামের নেতারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেও এ দেশ ছেড়ে পালায়নি। যারা জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে তারাই পালিয়েছে।’

এ টি এম আজহার বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যেভাবেই জড়িত সরকারকে জানাতে চাই তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।

তা না হলে বাংলাদেশ আইনের শাসন থাকবে না। আজকে মানুষ আদালতকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। আগে আদালত দলীয়ভাবে চলত। এখন আদালত দলীয়মুক্ত হয়েছে। আমার তো রায় হয়ে গিয়েছিল শুধু ফাঁসি কার্যকর করা বাকি।

কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি মুক্ত হলাম। আর আমাকে ফাঁসির আসামি হিসেবে ঝোলানোর চেষ্টা করল যে বিচারপতিরা কোথায় আজকে তারা। তাদের আজ খুঁজে পাওয়া যায় না।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনি জড়িত ছিলেন না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আজ আমি মুক্ত ও স্বাধীন। আমি আপনাদের কাছে বলতে চাই, যে অপরাধে আমাকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর কসম সে অপরাধী আমি সামান্যতম জড়িত ছিলাম না। আমাকে অন্যায়ভাবে করা ফাঁসানো হয়েছে।’