কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কিছু অসাধু লোক পাহাড় কেটে বনাঞ্চল ও পরিবেশ ধ্বংস করে নদী থেকে অবৈধ ও অনুমোদনবিহীন ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো।স্বৈরাচার সরকার পতনের পরেও সেটা বন্ধ হয় নাই,বরং বিভিন্নক্ষেত্রে আরো বিস্তৃত হয়েছে।
গতকাল আনুমানিক বিকাল সাড়ে চারটার দিকে আমরা মাঝেরপাড়ি ব্রিজের পাশে অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ট্রাকটির চিত্র ধারণ করতে গেলে ট্রাক থামিয়ে স্থানীয় বালু উত্তলোনকারী মোহাম্মদ সাদু নামে একজন সাংবাদিকদের ছবি ডিলেট করতে বলে,তারা অস্বীকৃতি জানালে আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বালু সিন্ডিকেটের স্থানীয় জড়ো করে তারা তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।এসময় আহত হন চট্টগ্রামের সাহসী জুলাই যোদ্ধা হাসান ।(মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট নম্বর ৫৮)
হামলায় যারা জড়িত ছিলো তাদের মধ্যে অন্যতম:
১.সানাউল্লাহ্,পিতা:শামসুল ইসলাম,মধ্যম সুরাজপুর,০৯ নং ওয়ার্ড।
২.মোহাম্মদ সাদু,পিতা-নুরুচ্ছমদ,ঠিকানা-মধ্যম সুরাজপুর, ০৯ নং ওয়ার্ড,
৩.মো: হুবাইব(বাবুলু),পিতা-মৃত ইউসুফ,মধ্যম সুরাজপুর ০৯ নং ওয়ার্ড,মো:০১৩১২৪৩৪১৮৮
৪.মোস্তফা,পিতা:নুরুচ্ছমদ,মধ্যম সুরাজপুর,০৯নং ওয়ার্ড।
৫.মোহাম্মদ জমির,দক্ষিণ সুরাজপুর,০৯ নং ওয়ার্ড।
তাছাড়া তারা আমার এবং হাসানের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে।পরে স্থানীয়দের প্রতিরোধে তারা পালিয়ে যায়।এবং ডেমেজ কন্ট্রোল হিসেবে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা,প্রোপাগান্ডামূলক তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন।
তারা আরও অভিযোগ করেন, প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে, যারা এই অপকর্ম করছে—তারা একালের খোলসধারী ডাকাত! ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এই চক্রান্তের আড়ালে ব্যবহার করা হচ্ছে এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম। যেন সেই নামই তাদের ‘লাইসেন্স’ হয়ে গিয়েছে,পরিবেশ ধ্বংসের!আর যারা প্রতিবাদ করছে, কথা বলছে -তাদের ওপর হামলা ও হুমকি দিচ্ছে সেইসব স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।আমরা ইতোমধ্যেই নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছি।আমরা এই হামলার আইনগত প্রতিকার চাই এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় পাহাড়ের বালু উত্তোলনের মতো অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধে বালুখেকো দূর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।