ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ফরিদপুরে বাথরুমের সামনে পড়েছিল মায়ের বিবস্ত্র মরদেহ, পাশের রুমে অচেতন পড়েছিল শিশুকন্যা

ফরিদপুর জেলা শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে রিনা বেগম (৩০) নামে এক নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। একই সময় তার পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে রঘুনন্দনপুর এলাকার হাবিব ভিলার নিচতলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। রিনা বেগম সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের আজহার মন্ডলের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে রিনার বিয়ে হয় ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের শহীদ মোল্লার সঙ্গে। বিয়ের দুই বছর পর উপার্জনের জন্য শহীদ মোল্লা সৌদি আরব যান এবং পরে রিনাকেও সেখানে নিয়ে যান। তবে কয়েক বছর আগে রিনা দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পর মনিরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা গেছে। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তিনি একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাসার ভেতর থেকে পানি বের হতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাথরুমের সামনে রিনার বিবস্ত্র মরদেহ এবং পাশের কক্ষে শিশুকন্যাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। কক্ষের ভেতরে ওষুধ ও খাবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার পর চিকিৎসক রিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাড়ির মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি মাসের শুরুতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাসাটি ভাড়া নেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে রিনা সেখানে উঠেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে মনিরুলকে ফোন করা হলে তিনি আর আসেননি এবং পরবর্তীতে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেছেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

ফরিদপুরে বাথরুমের সামনে পড়েছিল মায়ের বিবস্ত্র মরদেহ, পাশের রুমে অচেতন পড়েছিল শিশুকন্যা

আপডেট সময় ০৮:০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

ফরিদপুর জেলা শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে রিনা বেগম (৩০) নামে এক নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। একই সময় তার পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে রঘুনন্দনপুর এলাকার হাবিব ভিলার নিচতলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। রিনা বেগম সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের আজহার মন্ডলের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে রিনার বিয়ে হয় ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের শহীদ মোল্লার সঙ্গে। বিয়ের দুই বছর পর উপার্জনের জন্য শহীদ মোল্লা সৌদি আরব যান এবং পরে রিনাকেও সেখানে নিয়ে যান। তবে কয়েক বছর আগে রিনা দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পর মনিরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা গেছে। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তিনি একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাসার ভেতর থেকে পানি বের হতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাথরুমের সামনে রিনার বিবস্ত্র মরদেহ এবং পাশের কক্ষে শিশুকন্যাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। কক্ষের ভেতরে ওষুধ ও খাবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার পর চিকিৎসক রিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাড়ির মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি মাসের শুরুতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাসাটি ভাড়া নেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে রিনা সেখানে উঠেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে মনিরুলকে ফোন করা হলে তিনি আর আসেননি এবং পরবর্তীতে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেছেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।