সকল ইসলামী দল এক হয়ে একসাথে আগামী নির্বাচন করবে। ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে হয়ে নির্বাচন করার প্রক্রিয়া চলমান, এ কাজের আশা ব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে। সংসদে কোরআনের আইন চালু করার লক্ষ্যে ইসলামী দলগুলোঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে কুরআনের বিজয় হবেই ইনশাল্লাহ।
গতকাল ১০ জুন মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াত কর্তৃক আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও জামায়াতের সাবেক সংসদীয় দলের নেতা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ঈশ্বরদীর আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে উপজেলা আমির ডঃ নুরুজ্জামান প্রামাণিকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও জামায়াত মনোনীত পাবনা-৪ ( আটঘরিয়া ঈশ্বরদী) আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, সংগঠনের বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান। ঈদ পুনর্মিলনে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা জামাতের সেক্রেটারি পাবনা জেলা সদর পৌরসভার মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল গাফফার খান, ঈশ্বরদী উপজেলার সাবেক আমির জুবায়ের আহমেদ খান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, সংগঠনের পাবনা জেলার সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ মোঃ আব্দুল্লাহ, এস এম সোহেল স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ৫৪ বছর ধরে মানুষের মতবাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়ায় মানুষ প্রকৃত অর্থে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে পারেনি, তাই জনগণ এবার কোরআনের আইন দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার কথা যারা বলেন তাদের দিকে ঝুঁকেছে। জনগণ ইতোমধ্যেই বলতে শুরু করেছে সব দল দেখা শেষ যাদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখা যায়নি কোরআনের আইন চালু করার জন্য তাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই। প্রধান অতিথি কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন আল্লাহ তায়ালা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য মাল ও যান চেয়েছেন। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে বলেন আগামী নির্বাচনে মাল ও জান দিয়ে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।আগামী নির্বাচনে আপনাদের ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে কোরআনের আইন জন্য জাতীয় সংসদে আপনাদের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকার জামায়াত-শিবির কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কিন্তু চারদিনের মাথায় দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে আমাদের দলের শীর্ষ নেতাদের অন্যায়ভাবে হাসি দিয়ে ফাঁসি দিয়ে শহীদ করা হয়েছে, বর্তমানে ওই সব বিচারক, আইনজীবী সহ এ কাজে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর বিচারের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি আরো বলেন জামায়্যাত ইসলামি ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এ দাওয়াত সাধারণ জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।