রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ধ্যার পর ব্যাডমিন্টনসহ অন্যান্য খেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সমুন্নত রাখতে ও বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াতে এ নির্দেশ দেওয়া হয় ।
গতকাল সোমবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। নির্দেশনাটি নিয়ে ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নোটিশে বলা হয়েছে, ‘ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা সমুন্নত রাখতে এবং বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ও শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে এবং বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে সন্ধ্যার পর ব্যাডমিন্টনসহ অন্যান্য খেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়ে তাদের জিম্মি করতে চাচ্ছে এবং মুক্ত জ্ঞানচর্চায় বাধা সৃষ্টি করছে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর লিখেছেন, দেশের পরিস্থিতি অনুসারে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দিয়ে আবাসিক হলে বন্দী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, একাডেমিক ভবন ও লাইব্রেরির আশপাশে ব্যাডমিন্টনের অনেকগুলো কোর্ট কাটা হয়েছে। ছাত্ররা নিজেরাই সব কটিতে অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ দিয়েছে। মধ্যরাত পর্যন্ত এ খেলা চলে। এসব জায়গা তো খেলার জায়গা নয়। এত রাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে! এ জন্য তাদের আবাসিক হলের আশপাশে ও জিমনেশিয়ামে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য বলা হয়েছে।