ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার হাসপাতালগুলো অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে : বাইডেন

গাজার হাসপাতালগুলো অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে : বাইডেন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে ইসরায়েলের ‘কম হস্তক্ষেপমূলক’ পদক্ষেপের বিষয়ে নিজের আশার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

এছাড়া বাইডেন এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন গাজার প্রধান হাসপাতালের গেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো গাজা শহরের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালের বাইরে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি টানেলে হামাস কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছে। তবে হামাস এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করেছে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।

হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, চলমান যুদ্ধে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে তারা গাজায় আটক ৭০ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। সোমবার আল শিফা হাসপাতালে ছিলেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা। তিনি বলেছেন, উত্তর গাজায় অবস্থিত এই হাসপাতালটিতে অবরোধ এবং বিদ্যুতের অভাবের কারণে তিন নবজাতকসহ আগের তিন দিনে ৩২ জন রোগী মারা গেছেন।

অবশ্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার ভোরে বলেছে, তারা ইসরায়েল থেকে আল শিফা হাসপাতালে ‘ইনকিউবেটর স্থানান্তর সমন্বয়ের জন্য মানবিক প্রচেষ্টা শুরু করেছে’। তবে অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া নবজাতকদের উষ্ণ রাখার জন্য ব্যবহৃত এসব ডিভাইসের কোনোটিই হাসপাতালটি গ্রহণ করেনি। ইসরায়েলের এই দাবি সম্পর্কে আল শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

রয়টার্স বলছে, গাজার আল শিফা হাসপাতালের ভেতরে এখনও কমপক্ষে ৬৫০ রোগী রয়েছেন। হাসপাতালটির পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের অন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি।

এই পরিস্থিতিতে গাজার হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জো বাইডেন। সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার আশা এবং প্রত্যাশা হচ্ছে- হাসপাতালগুলোতে তুলনায়মূলক কম পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং আমরা ইসরায়েলিদের সাথে যোগাযোগ রাখব।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ আজ টিভিতে যা দেখবেন

গাজার হাসপাতালগুলো অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে : বাইডেন

আপডেট সময় ১১:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে ইসরায়েলের ‘কম হস্তক্ষেপমূলক’ পদক্ষেপের বিষয়ে নিজের আশার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

এছাড়া বাইডেন এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন গাজার প্রধান হাসপাতালের গেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো গাজা শহরের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালের বাইরে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি টানেলে হামাস কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছে। তবে হামাস এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করেছে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।

হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, চলমান যুদ্ধে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে তারা গাজায় আটক ৭০ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। সোমবার আল শিফা হাসপাতালে ছিলেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা। তিনি বলেছেন, উত্তর গাজায় অবস্থিত এই হাসপাতালটিতে অবরোধ এবং বিদ্যুতের অভাবের কারণে তিন নবজাতকসহ আগের তিন দিনে ৩২ জন রোগী মারা গেছেন।

অবশ্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার ভোরে বলেছে, তারা ইসরায়েল থেকে আল শিফা হাসপাতালে ‘ইনকিউবেটর স্থানান্তর সমন্বয়ের জন্য মানবিক প্রচেষ্টা শুরু করেছে’। তবে অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া নবজাতকদের উষ্ণ রাখার জন্য ব্যবহৃত এসব ডিভাইসের কোনোটিই হাসপাতালটি গ্রহণ করেনি। ইসরায়েলের এই দাবি সম্পর্কে আল শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

রয়টার্স বলছে, গাজার আল শিফা হাসপাতালের ভেতরে এখনও কমপক্ষে ৬৫০ রোগী রয়েছেন। হাসপাতালটির পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের অন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি।

এই পরিস্থিতিতে গাজার হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জো বাইডেন। সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার আশা এবং প্রত্যাশা হচ্ছে- হাসপাতালগুলোতে তুলনায়মূলক কম পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং আমরা ইসরায়েলিদের সাথে যোগাযোগ রাখব।