ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘টিউলিপ-ইউনূস সাক্ষাৎ হবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা’-মাসউদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্ভাব্য সাক্ষাৎ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ‘প্রতারণা’

সোমবার (৯ জুন) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র কমলার দিঘীর পাড়ে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম উদ্বোধনের আগে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘আমরা শুনেছি ড. ইউনূস স্যার ইউরোপ যাচ্ছেন। তার সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকর সাক্ষাতের একটি চেষ্টা চলছে বলে খবর পাচ্ছি। টিউলিপ সিদ্দিক কে, সেই প্রশ্ন এখন দেশের মানুষ করছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্রিটেনে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং সে কারণে তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা থেকেও বাদ পড়েছেন।’

হান্নান মাসউদ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক ছাত্র জনতার খুনি, খুনের সাথে জড়িত। এদেশের মানুষের অর্থপাচারের সাথে জড়িত টিউলিপ সিদ্দিক। দুর্নীতির কারণে মন্ত্রীত্ব হারানো টিউলিপ সিদ্দিকের ডাকে আপনি সাড়া দিবেন না। তার সাথে সাক্ষাৎ দেবেন না। আমরা মনে করি টিউলিপ সিদ্দিকর সাথে সাক্ষাৎ করা মানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সাথে প্রতারণা করা। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের ওপর ভরসা রাখি। আমরা আশা রাখি টিউলিপ সিদ্দিকর সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের কোনো বৈঠক হবে না ইনশাআল্লাহ। ’

এসময় হান্নান মাসউদ ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘এই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, তারা শুধু একটি নির্বাচনের জন্য লড়েননি। তারা লড়েছেন পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে। তাই কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ বা সমঝোতা হলে সেটি সেই স্বপ্নের সঙ্গে প্রতারণা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে সবার আগে প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সবার ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার এবং অপরাধীদের গ্রেফতার না হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না।’

রাজনৈতিক প্রসঙ্গ ছাড়াও তিনি হাতিয়ার স্থানীয় বিষয় নিয়েও কথা বলেন,‘অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করে, জাতীয় রাজনীতি করেও কেন হাতিয়ার বিষয়ে বলছি। আমি বলি, হাতিয়ার মানুষ আমার আত্মীয়, আমার আপনজন। এখানে এক সময় সন্ত্রাসের আবাস গড়ে উঠেছিল। আমরা চাই সেই হাতিয়া আবার শান্তির দ্বীপ হোক।’

এসময় তিনি স্থানীয় জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্ক, প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালোবাসা—এই বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। হাতিয়া যেন আত্মমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাতিয়া কলেজের সাবেক শিক্ষক মফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

 

‘মামলা বাণিজ্যর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

‘টিউলিপ-ইউনূস সাক্ষাৎ হবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা’-মাসউদ

আপডেট সময় ০৯:২৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্ভাব্য সাক্ষাৎ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ‘প্রতারণা’

সোমবার (৯ জুন) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র কমলার দিঘীর পাড়ে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম উদ্বোধনের আগে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘আমরা শুনেছি ড. ইউনূস স্যার ইউরোপ যাচ্ছেন। তার সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকর সাক্ষাতের একটি চেষ্টা চলছে বলে খবর পাচ্ছি। টিউলিপ সিদ্দিক কে, সেই প্রশ্ন এখন দেশের মানুষ করছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্রিটেনে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং সে কারণে তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা থেকেও বাদ পড়েছেন।’

হান্নান মাসউদ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক ছাত্র জনতার খুনি, খুনের সাথে জড়িত। এদেশের মানুষের অর্থপাচারের সাথে জড়িত টিউলিপ সিদ্দিক। দুর্নীতির কারণে মন্ত্রীত্ব হারানো টিউলিপ সিদ্দিকের ডাকে আপনি সাড়া দিবেন না। তার সাথে সাক্ষাৎ দেবেন না। আমরা মনে করি টিউলিপ সিদ্দিকর সাথে সাক্ষাৎ করা মানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সাথে প্রতারণা করা। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের ওপর ভরসা রাখি। আমরা আশা রাখি টিউলিপ সিদ্দিকর সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের কোনো বৈঠক হবে না ইনশাআল্লাহ। ’

এসময় হান্নান মাসউদ ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘এই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, তারা শুধু একটি নির্বাচনের জন্য লড়েননি। তারা লড়েছেন পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে। তাই কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ বা সমঝোতা হলে সেটি সেই স্বপ্নের সঙ্গে প্রতারণা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে সবার আগে প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সবার ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার এবং অপরাধীদের গ্রেফতার না হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না।’

রাজনৈতিক প্রসঙ্গ ছাড়াও তিনি হাতিয়ার স্থানীয় বিষয় নিয়েও কথা বলেন,‘অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করে, জাতীয় রাজনীতি করেও কেন হাতিয়ার বিষয়ে বলছি। আমি বলি, হাতিয়ার মানুষ আমার আত্মীয়, আমার আপনজন। এখানে এক সময় সন্ত্রাসের আবাস গড়ে উঠেছিল। আমরা চাই সেই হাতিয়া আবার শান্তির দ্বীপ হোক।’

এসময় তিনি স্থানীয় জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্ক, প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালোবাসা—এই বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। হাতিয়া যেন আত্মমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাতিয়া কলেজের সাবেক শিক্ষক মফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।