ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এখন মরক্কো Logo তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Logo সাভারে বাড়ি ফেরার পথে ধ’র্ষ’ণে’র শিকার তরুণী, থানায় মামলা Logo ‘কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগামে হামলা কোনো সভ্য মানুষ করতে পারে না’ Logo নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ Logo শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছেন নাহিদ ইসলাম

সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতার হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু,

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় গুরুতর আহত মো. ইলিয়াস হোসেন (৪২) নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মো. ইলিয়াস হোসেন উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মৃত মো. আবদুল ব্যাপারীর ছেলে ও ওই ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক।

সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মো. ইলিয়াস হোসেন তাঁর খামারে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী মো. আবদুল জলিল মিয়ার বসতবাড়ির কাছে পৌঁছলে তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালায় মো. সুমন মিয়া, মো. জুবায়ের হোসেন ও মো. সাজু মিয়া। এতে গুরুতর আহত হন এবং রাতেই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিহত মো.:ইলিয়াস হোসেন আহত হওয়ার পরে ওই ৩ ব্যাক্তির কথা বলেছেন বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান। মারামারির আসল ঘটনা তাঁর জানা নেই তবে পারিবারিক বিরোধে এ মারামারি হয়েছে বলে ধারণা ইউপি চেয়ারম্যানের।

এ বিষয়ে কথা হয় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো আবদুল হাকিম আজাদের সাথে। তিনি বলেন, মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। লাশ এখনো রংপুরে আছে। মামলা এখনো হয়নি। মারামারির প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন এ কর্মকর্তা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে কোন এক শুক্রবারে মসজিদে জুমার নামাজের পরে মো. সুমন মিয়ার বাবা মো. মজিবর রহমানকে চড়থাপ্পড় মারেন মো. ইলিয়াস হোসেন। পরবর্তীতে বিষয়টি বড় আকার ধারণ করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সালিসি বৈঠক হয়। তাতে মিমাংসাও হয়। এরই জেরে এ মারামারির ঘটনা হতে পারে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এখন মরক্কো

সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতার হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু,

আপডেট সময় ১০:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় গুরুতর আহত মো. ইলিয়াস হোসেন (৪২) নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মো. ইলিয়াস হোসেন উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মৃত মো. আবদুল ব্যাপারীর ছেলে ও ওই ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক।

সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মো. ইলিয়াস হোসেন তাঁর খামারে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী মো. আবদুল জলিল মিয়ার বসতবাড়ির কাছে পৌঁছলে তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালায় মো. সুমন মিয়া, মো. জুবায়ের হোসেন ও মো. সাজু মিয়া। এতে গুরুতর আহত হন এবং রাতেই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিহত মো.:ইলিয়াস হোসেন আহত হওয়ার পরে ওই ৩ ব্যাক্তির কথা বলেছেন বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান। মারামারির আসল ঘটনা তাঁর জানা নেই তবে পারিবারিক বিরোধে এ মারামারি হয়েছে বলে ধারণা ইউপি চেয়ারম্যানের।

এ বিষয়ে কথা হয় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো আবদুল হাকিম আজাদের সাথে। তিনি বলেন, মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। লাশ এখনো রংপুরে আছে। মামলা এখনো হয়নি। মারামারির প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন এ কর্মকর্তা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে কোন এক শুক্রবারে মসজিদে জুমার নামাজের পরে মো. সুমন মিয়ার বাবা মো. মজিবর রহমানকে চড়থাপ্পড় মারেন মো. ইলিয়াস হোসেন। পরবর্তীতে বিষয়টি বড় আকার ধারণ করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সালিসি বৈঠক হয়। তাতে মিমাংসাও হয়। এরই জেরে এ মারামারির ঘটনা হতে পারে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।