২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন ঘোষণায় হতাশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের জন্য এপ্রিল মাস কোনোভাবেই উপযোগী নয়।
অন্যদিকে সন্তোষ প্রকাশ করে দেশে আর কোনো যেনতেন নির্বাচন চায় না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে জুলাই সনদের স্পষ্ট ঘোষণা দরকার বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তারাও এ নির্বাচনের রোড ম্যাপকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহার নামাজের পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাতে অংশ নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য এপ্রিল মাস কোনোভাবেই উপযোগী নয়। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা না দেয়ায় গোটা জাতি হতাশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, যে সময়টি নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য সঠিক সময় নয়। আমরা মনে করি, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব। সেটাই জাতির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে।
এদিকে মৌলভীবাজারের নিজ গ্রামে ঈদের জামাত শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। কারণ, পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা চারটি কাজ বাস্তবায়নের কথা বলেছি। এগুলো হলো- সংস্কার সম্পন্ন করা, বিচার দৃশ্যমান হওয়া, জুলাই সনদ ঘোষণা করা এবং নির্বাচনে সবার জন্য সমান মাঠ তৈরি করা।
অন্যদিকে কুমিল্লার দেবিদ্বারে ঈদের নামাজ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে হলে সবার আগে জুলাই সনদের স্পষ্ট ঘোষণা দরকার। এপ্রিলের আগেই আমাদের জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র অবশ্যই দিতে হবে। সেই সঙ্গে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হলে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে।