আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটার মাহাত্ম্য ছিল অন্য জায়গায়। বিশ্বকাপ আগেই নিশ্চিত হয়ে আছে দলটার। আজকের ম্যাচে কোচ লিওনেল স্কালোনি বেঞ্চের শক্তি পরখ করার সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন ভালোভাবেই।
এ দিকে সেই ২০১৪ সালে বিশ্বকাপে খেলেছিল চিলি। এরপর টানা দুই বছর কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে। এরপর থেকেই যেন দলটার বিশ্বকাপ ভাগ্য একেবারে মিলিয়ে গেছে। ২০১৮ আর ২০২২ বিশ্বকাপে খেলা হয়নি আর্তুরো ভিদালদের। এবার সেই আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরেই ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে গেল চিলির।
লিওনেল মেসিকে বেঞ্চে রেখে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। ফরোয়ার্ড লাইনে অবশ্য হুলিয়ান আলভারেজ ছিলেন। তিনিই আর্জেন্টিনাকে পথ দেখিয়েছেন একমাত্র গোলটি করে। এছাড়া ম্যাচে অবশ্য আধিপত্য ছিল আলবিসেলেস্তেদেরই। ৬৬ শতাংশ বলের দখল ছিল তাদের কাছে, প্রতিপক্ষ গোলমুখে শট নেয় ১০টি।
নিজেদের মাঠে প্রথম সুযোগটা অবশ্য চিলির কাছেই আসে। আলেক্সিস সানচেজ তৃতীয় মিনিটে আক্রমণে উঠে আসেন, তবে তার আগুনে শটটা ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তবে আর্জেন্টিনা ঠিকই তাদের প্রথম ভালো সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ফেলে, ম্যাচে এগিয়ে যায়। থিয়াগো আলমাদার পাস থেকে গোলটা করে বসেন হুলিয়ান আলভারেজ।
এরপর আর্জেন্টিনা অবশ্য আরও অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছে। ৩৪ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর পাস থেকে জুলিয়ানো সিমিওনে শট নেন পোস্টের বাইরে। ৪৪ মিনিটে থিয়াগো আলমাদার শট ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক।
৫৩ মিনিটে নিকো পাজের জায়গায় বদলি হিসেবে নামেন মেসি। তিনিও সুযোগ তৈরি করেছিলেন বেশ কিছু। তার পাস থেকে শেষ দিকে সিমিওনে একা পেয়ে গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে। তবে এরপরও আর্জেন্টিনার গোল আর আসেনি।
এর আগে পরে অবশ্য একাধিক সুযোগ চিলিও পেয়েছিল। তবে আর্জেন্টাইন রক্ষণ আর মার্তিনেজের দেয়াল ভাঙা হয়নি তাদের। ফলে আকাশি-সাদারা এই ম্যাচটা শেষ করে জয় নিয়ে, তাদের টানা চতুর্থ জয় এটি।
১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রইল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে আছে চিলি। বিশ্বকাপের আশা শেষ হয়ে গেছে তাদের