লামিন ইয়ামালের জাদুতে উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ৫-৪ গোলের অবিশ্বাস্য ম্যাচে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল স্পেন । স্টুটগার্টের এমএইচপি অ্যারেনায় বৃহস্পতিবারের এই ম্যাচটি ছিল গোল-বন্যায় ভরা, যা ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যেই স্পেন এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে—গোল করেন নিকো উইলিয়ামস ও মিকেল মেরিনো। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই ১৭ বছর বয়সী বিস্ময় বালক ল্যামিন ইয়ামাল পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান, এরপর পরের মিনিটেই পেদ্রি করেন আরও একটি দুর্দান্ত গোলে ৪-০ তে এগিয়ে যায় স্প্যানিশরা।
ম্যাচটি শুরু হয়েছিল ইয়ামাল বনাম এমবাপ্পে হিসেবে, তবে স্প্যানিশ তরুণই শেষমেশ আলো ছড়ান। পিএসজির তারকারা—দেজিরে দুয়ে ও উসমান ডেম্বেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর তাদের থেকে আশা ছিল অনেক তবে মাঠে তারা ছিলেন নিষ্প্রভ। অন্যদিকে ইয়ামাল যোগ করেন আরও একটি গোল, যা তাকে রাতের নায়ক বানিয়ে তোলে।
তবে শেষ দিকে নাটকীয়তা ছিল পূর্ণ মাত্রায়। এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ দেন, এরপর রায়ান শেরকির দূরপাল্লার গোল, দানি ভিভিয়ানের আত্মঘাতী গোল ও র্যান্ডাল কোলো মউয়ানির শটে স্পেন পড়ে চাপে। তবে নির্ধারিত সময়ে আর গোল না হওয়ায় শেষ হাসি হাসে লুইস ডে লা ফুয়েন্তের দল।
ইতিহাসের প্রথম নেশন্স লিগ ম্যাচ হিসেবে এই খেলায় হয়েছে ৯টি গোল, যা ফ্রান্সের ক্ষেত্রে ১৯৬৯ সালের পর প্রথম এক ম্যাচে পাঁচটি গোল হজম করার রেকর্ডও বটে।
ম্যাচশেষে ইয়ামাল বলেন, ‘আমি মাকে সবসময় বলি—আমি প্রতিদিন সকালে ওঠার প্রেরণা পাই ফুটবলের জন্য। আজকের জয় সেই ভালোবাসারই প্রতিদান।’
রোববার ফাইনালে স্পেন মুখোমুখি হবে প্রতিবেশী পর্তুগালের। লা ফুরিয়ারা কি পারবে এবারও শিরোপা ধরে রাখতে? উত্তরের অপেক্ষা মাত্র আর একটি রাত।