জুলাই আন্দোলনে শহীদ গার্মেন্টস শ্রমিক নজরুল ইসলামের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, রায়গঞ্জ উপজেলা শাখা। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) এক অনুষ্ঠানে শহীদ নজরুলের পরিবারের হাতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী প্রফেসর ড. আব্দুস সামাদ।
তিনি বলেন, “মানবসৃষ্ট মতবাদ দিয়ে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়। বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামই একমাত্র পথ। ইসলামের আদর্শ সব ধর্ম ও শ্রেণির মানুষের জন্যই কল্যাণকর।”
তিনি বলেন, “জামায়াতের সাবেক দুই মন্ত্রী ইসলামী মূল্যবোধ অনুসরণ করে সততার সঙ্গে কাজ করেছেন। আমরাও তাদের পথ অনুসরণ করে ইনশাআল্লাহ ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়তে কাজ করে যাব।”
শহীদ নজরুল ইসলামের আত্মত্যাগ স্মরণ করে ড. সামাদ বলেন, “তিনি একজন সাধারণ মানুষ হয়েও দেশের অধিকার আদায়ে জীবন দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা যেন তাঁকে জান্নাত নসিব করেন।” এ সময় তিনি শহীদ নজরুলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর আলী মর্তুজা, সেক্রেটারি ডা. এস. এম. মুনসুর আলী, পাঙ্গাসী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, শহীদ নজরুল ইসলাম রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বাড়ইভাগ গ্রামের বাসিন্দা এবং জামাল শেখের ছেলে। ২০২৪ সালের ২০ জুলাই কারফিউ চলাকালে চন্দ্রা চৌরাস্তায় পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হন।