জামালপুরের মাদারগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে এক মাহিন্দ্র গাড়িচালককে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে বিএনপির নেতাসহ দুজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়নের জটিয়ারপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় আজ বুধবার বিকালে মাহিন্দ্রা চালক রাঙ্গা মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃতরা হলেন— উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও পূর্ব জটিয়ারপাড়া এলাকার মুন্নাফের ছেলে গোলাম মোস্তফা জিন্নাহ ও তার সহযোগী একই এলাকার মৃত সুরুজ মন্ডলের ছেলে সোলাইমান সুলাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা জায়, মাহিন্দ্র গাড়িচালক রাঙ্গা মিয়া পূর্ব জটিয়ারপাড়া এলাকার মমিনুর ইসলামের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপির নেতা জিন্নাহ ও তার সহযোগী সোলাইমান তার কাছে মাসিক ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হন। পরে গত ৩১ মে রাতে মাহিন্দ্র গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরলে হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রাঙ্গা মিয়াকে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহত রাঙ্গা মিয়াকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এ ঘটনায় রাঙ্গা মিয়া মাদারগঞ্জ সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জটিয়ারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম, গ্যাস লাইট ও দুইটি স্টিলের লাঠি উদ্ধার করে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন বলেছেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ জনকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রাঙ্গা মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। বুধবার বিকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।