ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ Logo জনপ্রতিনিধিরা শাসক নয় হবে খাদেম: সেলিম উদ্দিন Logo ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হবে’ Logo নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সব ভোটকেন্দ্র Logo সরকারি খরচে বিদেশ সফর বন্ধ, কেনা যাবে না গাড়ি Logo ইসলামপন্থীরা বিজয়ী হলে এক পয়সাও দুর্নীতি হবে না: শায়খে চরমোনাই Logo গাইবান্ধায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১ Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লা’ঠিচা’র্জে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২০ শিক্ষার্থী আ’হ’ত Logo বন্যা পরিস্থিতি খাগড়াছড়ি: পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত Logo কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

কে সরকারে আসবে সে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশিদেরই নেওয়া উচিত : যুক্তরাষ্ট্র

কে সরকারে আসবে সে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশিদেরই নেওয়া উচিত : যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে পরবর্তী সরকার কারা গঠন করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণেরই নেওয়া উচিত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পক্ষ নেই। কোনো বিশেষ দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না।

পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি একজন সাংবাদিক বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। আমি শুধু এটিই বলব, আগেও অনেক বার বলেছি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে জনগণেরই তার ভবিষ্যৎ সরকার ঠিক করা উচিত।

বাংলাদেশি সাংবাদিকের পরের প্রশ্ন ছিল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোকে সংলাপে বসার চিঠি দিয়েছেন। বিরোধী দলের অধিকাংশ নেতা যখন কারাগারে তখন কীভাবে সংলাপ হবে? সরকারের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন ও পাঁচজন কর্মী হত্যার অভিযোগ তুলে তিনি জানতে চান, বিরোধী দল কীভাবে চিঠি পেল? এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সংলাপ হবে?

জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিবেদকের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমার টেনে নেওয়ার চেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি এতে বিরতই থাকবে। মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না।

আমরা কোনো একটি দলের বিরুদ্ধে বা অন্য কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নেই না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সঙ্গে কী আলোচনা, বলবে না যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে ওয়াশিংটন কিছুই বলবে না। সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ কথা জানান। নয়াদিল্লিতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয় গত শুক্রবার।

ওই বৈঠক নিয়ে সেদিনই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, বাংলাদেশ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত তার অবস্থান স্পষ্টভাবে জানিয়েছে। তবে বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

ভারতে সেই বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রথম নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং ছিল বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে। সেখানে একজন সাংবাদিক বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য, বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর এবং বাংলাদেশের নির্বাচনকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিহিত করে ভারত ও চীনের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের বৈঠক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে বিবৃতি দিয়েছে তার বাইরে তিনি কিছুই বলবেন না।

জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ

কে সরকারে আসবে সে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশিদেরই নেওয়া উচিত : যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১০:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশে পরবর্তী সরকার কারা গঠন করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণেরই নেওয়া উচিত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পক্ষ নেই। কোনো বিশেষ দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না।

পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি একজন সাংবাদিক বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। আমি শুধু এটিই বলব, আগেও অনেক বার বলেছি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে জনগণেরই তার ভবিষ্যৎ সরকার ঠিক করা উচিত।

বাংলাদেশি সাংবাদিকের পরের প্রশ্ন ছিল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোকে সংলাপে বসার চিঠি দিয়েছেন। বিরোধী দলের অধিকাংশ নেতা যখন কারাগারে তখন কীভাবে সংলাপ হবে? সরকারের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন ও পাঁচজন কর্মী হত্যার অভিযোগ তুলে তিনি জানতে চান, বিরোধী দল কীভাবে চিঠি পেল? এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সংলাপ হবে?

জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিবেদকের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমার টেনে নেওয়ার চেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি এতে বিরতই থাকবে। মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না।

আমরা কোনো একটি দলের বিরুদ্ধে বা অন্য কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নেই না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সঙ্গে কী আলোচনা, বলবে না যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে ওয়াশিংটন কিছুই বলবে না। সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ কথা জানান। নয়াদিল্লিতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয় গত শুক্রবার।

ওই বৈঠক নিয়ে সেদিনই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, বাংলাদেশ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত তার অবস্থান স্পষ্টভাবে জানিয়েছে। তবে বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

ভারতে সেই বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রথম নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং ছিল বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে। সেখানে একজন সাংবাদিক বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য, বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর এবং বাংলাদেশের নির্বাচনকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিহিত করে ভারত ও চীনের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের বৈঠক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে বিবৃতি দিয়েছে তার বাইরে তিনি কিছুই বলবেন না।