ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও পিআর ঠেকাবে ছাত্রদল: তানভীর বারী হামিম Logo জাকসু নির্বাচন: ২৫ পদের ২০টিতেই জয় ছাত্রশিবিরের Logo টানা চার দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা Logo জাকসুতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে জিএস নির্বাচিত হলেন মাজহারুল Logo সরকার মাহফুজদের ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে: নাহিদ Logo জাকসু নির্বাচন: ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু , জিএস মাজহারুল ইসলাম Logo যুগপৎ কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াল এনসিপি Logo পিরোজপুরে জামায়াতের শতাধিক ট্রলার নিয়ে নৌবহর, নেতৃত্বে সাঈদীপুত্র Logo জাকসু নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা সেই শিক্ষিকা বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেত্রী Logo ‘জাকসুতে ভোট কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব- নির্বাচন কমিশনার

সরকার শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সরকার শপথ না পড়ালে তিনি নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসে পড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে সিটি কর্পোরেশনে বহিরাগত কোনো প্রশাসক ও সরকারের উপদেষ্টাকে নগর ভবনে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩ জুন) নগর ভবনে তার সমর্থকদের তৈরি করা মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইশরাক বলেন,আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী। আমরা চাই না, একটা বাজে উদাহরণ সৃষ্টি হোক। কিন্তু এই সরকারকে বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, আপনারা যদি অবিলম্বে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা না নেন, তাহলে ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে আমি নিজেই শপথ পড়ে আমার চেয়ারে বসব। তবে আপাতত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগর ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে তিনি ও তার সমর্থকরা নগর ভবনে কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে সমর্থকদের নিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকাতেও সমাবেশ ও অবস্থানের কর্মসূচি পালন করেছিলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আদালতের রায়ের পরেও অন্তর্বর্তী সরকার ও ‘কতিপয় উপদেষ্টা পক্ষপাতদুষ্ট’ হয়ে টালবাহানা করছে। আমাকে শপথ না পড়ানোর মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা তারা অসম্মান করেছে

তিনি বলেছেণন, বাংলাদেশের মানুষ, আমরা যদি আগামী কাল থেকে তাদের না মানা শুরু করি, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? শপথ যদি তারা না পড়ায়, আমি গিয়ে আমার চেয়ারে বসতে পারি, দুই মিনিটও লাগবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তিনজন উপদেষ্টার নাম বলে আসা হয়েছে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ চাই, যারা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা দেখতে পাই নাই।

উল্লেখ, সম্প্রতি কাকরাইলের অবস্থান থেকে তিনি সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও পিআর ঠেকাবে ছাত্রদল: তানভীর বারী হামিম

সরকার শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের

আপডেট সময় ১০:১৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সরকার শপথ না পড়ালে তিনি নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসে পড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে সিটি কর্পোরেশনে বহিরাগত কোনো প্রশাসক ও সরকারের উপদেষ্টাকে নগর ভবনে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩ জুন) নগর ভবনে তার সমর্থকদের তৈরি করা মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইশরাক বলেন,আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী। আমরা চাই না, একটা বাজে উদাহরণ সৃষ্টি হোক। কিন্তু এই সরকারকে বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, আপনারা যদি অবিলম্বে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা না নেন, তাহলে ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে আমি নিজেই শপথ পড়ে আমার চেয়ারে বসব। তবে আপাতত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগর ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে তিনি ও তার সমর্থকরা নগর ভবনে কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে সমর্থকদের নিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকাতেও সমাবেশ ও অবস্থানের কর্মসূচি পালন করেছিলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আদালতের রায়ের পরেও অন্তর্বর্তী সরকার ও ‘কতিপয় উপদেষ্টা পক্ষপাতদুষ্ট’ হয়ে টালবাহানা করছে। আমাকে শপথ না পড়ানোর মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা তারা অসম্মান করেছে

তিনি বলেছেণন, বাংলাদেশের মানুষ, আমরা যদি আগামী কাল থেকে তাদের না মানা শুরু করি, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? শপথ যদি তারা না পড়ায়, আমি গিয়ে আমার চেয়ারে বসতে পারি, দুই মিনিটও লাগবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তিনজন উপদেষ্টার নাম বলে আসা হয়েছে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ চাই, যারা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা দেখতে পাই নাই।

উল্লেখ, সম্প্রতি কাকরাইলের অবস্থান থেকে তিনি সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।