ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ছালামের ফ্যাক্টরিতে কেএনএফের পোশাক, আটক ৪

ঢাকাভয়েস ডেক্স:চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মালিকানাধীন ‘ওয়েল ফেব্রিক্স’ কারখানায় পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম সন্দেহে রোলিং করা কাপড়সহ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মালিকপক্ষের চারজনকে আটক করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

সোমবার (২ জুন) রাত ৯টার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কাপড়ের গাড়িসহ চারজনকে আটক করা হয়।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই চারজনের মধ্যে আবদুচ ছালামের ছোট ভাইও আছেন। তবে পুলিশ এখনো আটকদের পরিচয় জানায়নি।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘কুকি-চিনের পোশাক তৈরি করা হচ্ছে সন্দেহে ওয়েল ফেব্রিক্স ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে গাড়িতে রোল করা কাপড়সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’

এদিকে গত দু’সপ্তাহ ধরে তিন অভিযানে চট্টগ্রাম নগরী থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৪৬ হাজার পিস ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ১৭ মে রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ নামের ওই পোশাক কারখানায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ৩০০ পিস ইউনিফর্ম জব্দ করে।

অভিযানে কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অপর দু’জন হলেন গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। পুলিশ জানিয়েছে, তারা দু’জনই এই ইউনিফর্ম তৈরির অর্ডার এনেছিলেন।

১৮ মে বায়েজিদ থানায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইকবাল হোসেন চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত মার্চে গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার কেএনএফ সদস্য মংহ্লাসিন মারমা ওরফে ‘মং’-এর কাছ থেকে প্রায় দু’কোটি টাকার বিনিময়ে ইউনিফর্ম তৈরির এই চুক্তি নেন। কেএনএফ সদস্যরাই ইউনিফর্ম তৈরির কাপড় সরবরাহ করে, আর মে মাসে পোশাক হস্তান্তরের কথা ছিল।

দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ২৭ মে আরো ১১ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম এবং অর্ডারদাতা গোলাম আজম ও নিয়াজকে আটক করে। গত ২৭ মে রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডে অবস্থিত ‘নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস’ থেকে আরো ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করেছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় একটি গার্মেন্টস কারখানার মালিক মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় উল্লেখ করা হয়, এসব পোশাক কেএনএফ-এর ইউনিফর্ম এবং এগুলো ৫০ লাখ টাকার চুক্তিতে এক ব্যক্তি, যার নাম মং হ্লা সিন মারমা তৈরি করিয়েছেন।

এর আগে ৩১ মে ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ নামে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক সৈয়দা সালেহা পারভীনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

 

 

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক

ট্যাগস :

চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ছালামের ফ্যাক্টরিতে কেএনএফের পোশাক, আটক ৪

আপডেট সময় ০২:৪০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

ঢাকাভয়েস ডেক্স:চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মালিকানাধীন ‘ওয়েল ফেব্রিক্স’ কারখানায় পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম সন্দেহে রোলিং করা কাপড়সহ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মালিকপক্ষের চারজনকে আটক করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

সোমবার (২ জুন) রাত ৯টার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কাপড়ের গাড়িসহ চারজনকে আটক করা হয়।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই চারজনের মধ্যে আবদুচ ছালামের ছোট ভাইও আছেন। তবে পুলিশ এখনো আটকদের পরিচয় জানায়নি।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘কুকি-চিনের পোশাক তৈরি করা হচ্ছে সন্দেহে ওয়েল ফেব্রিক্স ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে গাড়িতে রোল করা কাপড়সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’

এদিকে গত দু’সপ্তাহ ধরে তিন অভিযানে চট্টগ্রাম নগরী থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৪৬ হাজার পিস ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ১৭ মে রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ নামের ওই পোশাক কারখানায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ৩০০ পিস ইউনিফর্ম জব্দ করে।

অভিযানে কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অপর দু’জন হলেন গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। পুলিশ জানিয়েছে, তারা দু’জনই এই ইউনিফর্ম তৈরির অর্ডার এনেছিলেন।

১৮ মে বায়েজিদ থানায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইকবাল হোসেন চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত মার্চে গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার কেএনএফ সদস্য মংহ্লাসিন মারমা ওরফে ‘মং’-এর কাছ থেকে প্রায় দু’কোটি টাকার বিনিময়ে ইউনিফর্ম তৈরির এই চুক্তি নেন। কেএনএফ সদস্যরাই ইউনিফর্ম তৈরির কাপড় সরবরাহ করে, আর মে মাসে পোশাক হস্তান্তরের কথা ছিল।

দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ২৭ মে আরো ১১ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম এবং অর্ডারদাতা গোলাম আজম ও নিয়াজকে আটক করে। গত ২৭ মে রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডে অবস্থিত ‘নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস’ থেকে আরো ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করেছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় একটি গার্মেন্টস কারখানার মালিক মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় উল্লেখ করা হয়, এসব পোশাক কেএনএফ-এর ইউনিফর্ম এবং এগুলো ৫০ লাখ টাকার চুক্তিতে এক ব্যক্তি, যার নাম মং হ্লা সিন মারমা তৈরি করিয়েছেন।

এর আগে ৩১ মে ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ নামে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক সৈয়দা সালেহা পারভীনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

 

 

ঢাকাভয়েস২৪/সাদিক