ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস তৈরিতে ব্যবহৃত দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কামারীরা। টুং টাং শব্দে মুখরিত এখন কামারশালায়গুলো।

মঙ্গলবার কুমারখালী বাজারের কামারপাড়ায় গিয়ে কামারদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা যায়। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও, ঈদের এই সময়টায় তাদের দম ফেলার সময় নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কামারীরা কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে হাতুড় দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন নতুন সরঞ্জাম।

আবার অনেকেই আসছেন পুরনো সরঞ্জাম ধারালো করতে। কামারপাড়ায় লোহা এবং হাতুড়ির ছন্দময় টং টং শব্দে জানান দিচ্ছে ঈদের আগমনী বার্তা।

কামারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছরে লোহার দাম বৃদ্ধির কারণে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে বেশি খরচ পড়ছে। ওজন ও আকারভেদে প্রতিটি দা ৫০০-৮০০ টাকা, ছুরি ১৫০-৫০০ টাকা, চাপাতি ৫০০-১০০০ টাকায় তৈরি শেষে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন সরঞ্জাম ধার করা ও শান দিয়ে নিচ্ছেন ৫০-১৫০ টাকা।

একাধিত ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, এবছর লোহার দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বেশি টাকা দিয়ে কোরবানির পশু জবাই ও মাংস তৈরির সরঞ্জাম কিনছেন । বিভিন্ন কামারশালায় ঘুরে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনছেন তারা। কামারপাড়ায় এসে টং টং শব্দে ঈদের আমেজ পাচ্ছেন বলে তারা জানান।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়

আপডেট সময় ১২:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস তৈরিতে ব্যবহৃত দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কামারীরা। টুং টাং শব্দে মুখরিত এখন কামারশালায়গুলো।

মঙ্গলবার কুমারখালী বাজারের কামারপাড়ায় গিয়ে কামারদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা যায়। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও, ঈদের এই সময়টায় তাদের দম ফেলার সময় নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কামারীরা কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে হাতুড় দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন নতুন সরঞ্জাম।

আবার অনেকেই আসছেন পুরনো সরঞ্জাম ধারালো করতে। কামারপাড়ায় লোহা এবং হাতুড়ির ছন্দময় টং টং শব্দে জানান দিচ্ছে ঈদের আগমনী বার্তা।

কামারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছরে লোহার দাম বৃদ্ধির কারণে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে বেশি খরচ পড়ছে। ওজন ও আকারভেদে প্রতিটি দা ৫০০-৮০০ টাকা, ছুরি ১৫০-৫০০ টাকা, চাপাতি ৫০০-১০০০ টাকায় তৈরি শেষে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন সরঞ্জাম ধার করা ও শান দিয়ে নিচ্ছেন ৫০-১৫০ টাকা।

একাধিত ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, এবছর লোহার দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বেশি টাকা দিয়ে কোরবানির পশু জবাই ও মাংস তৈরির সরঞ্জাম কিনছেন । বিভিন্ন কামারশালায় ঘুরে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনছেন তারা। কামারপাড়ায় এসে টং টং শব্দে ঈদের আমেজ পাচ্ছেন বলে তারা জানান।