ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টিভিতে যে খেলা দেখবেন আজ Logo স্বপ্নপূরণ হলো কোহলির, প্রীতির পাঞ্জাবকে কাঁদিয়ে বেঙ্গালুরুর শিরোপা Logo শেখ মুজিবসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল Logo রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo ভুটানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অভিষেকের অপেক্ষায় হামজা চৌধুরী Logo বাংলাদেশি হাজীদের সেবার দায়িত্বে মিনায় ১৮ টিম Logo জাতিসংঘের সংস্থায় ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’হিসেবে স্বীকৃতি পেলো ফিলিস্তিন Logo ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৬০ বস্তা ভিজিএফ চাল লুট, যৌথবাহিনী উদ্ধার করল ২২ বস্তা Logo সরকার শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের Logo মৌলভীবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচার হাতে ২ ভাতিজি খুন,আহত ১

জবি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, বৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একাধিক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইন প্রতারকদের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতারক চক্র ওই তথ্য ব্যবহার করে ‘মেধা বৃত্তি’ প্রদানের নামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করছে এবং ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) সংগ্রহ করে বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করছে।

সম্প্রতি এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী। প্রতারকরা নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর নাম, বিভাগ ও বর্ষ জেনে প্রথমে ‘মেধা বৃত্তি’ অনুমোদনের কথা জানায়। পরে একটি ওটিপি কোড মোবাইলে পাঠানোর কথা বলে সেটি জানানোর অনুরোধ করে। শিক্ষার্থী ওটিপি সরবরাহ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে টাকা তুলে নেয় প্রতারক চক্রটি।

ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আইয়ুব আলী বলেন, “এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে আমার নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানায়। তারা বলে আমি ‘মেধা বৃত্তি’ পেয়েছি, এবং টাকাটা পেতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চায়। অসচেতনতাবশত আমি নম্বর দিয়ে দিই। পরে দেখি আমার কার্ড থেকে ছয় হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম আকাশ বলেন, একইভাবে এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়। তিনি বলেন, “তারা জানায় আমার ইসলামি ব্যাংকে করা বৃত্তির আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় আমি কোনো তথ্য দিইনি। পরে একজন শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টে দেখি, একই কৌশলে তার চার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি।”

ঘটনাটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাদের ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনলাইন ফর্ম, বৃত্তির আবেদন অথবা অভ্যন্তরীণ ডেটাবেইস থেকে এসব তথ্য চুরি হয়ে থাকতে পারে। তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য ফাঁসের উৎস সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন বলেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই, তাই এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কিছু কুচক্রী মহল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করছে। শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কোনো অনলাইন মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি হয়েছে কি না, তা আমরা তদন্ত করে দেখবো।”

টিভিতে যে খেলা দেখবেন আজ

জবি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, বৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একাধিক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইন প্রতারকদের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতারক চক্র ওই তথ্য ব্যবহার করে ‘মেধা বৃত্তি’ প্রদানের নামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করছে এবং ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) সংগ্রহ করে বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করছে।

সম্প্রতি এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী। প্রতারকরা নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর নাম, বিভাগ ও বর্ষ জেনে প্রথমে ‘মেধা বৃত্তি’ অনুমোদনের কথা জানায়। পরে একটি ওটিপি কোড মোবাইলে পাঠানোর কথা বলে সেটি জানানোর অনুরোধ করে। শিক্ষার্থী ওটিপি সরবরাহ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে টাকা তুলে নেয় প্রতারক চক্রটি।

ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আইয়ুব আলী বলেন, “এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে আমার নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানায়। তারা বলে আমি ‘মেধা বৃত্তি’ পেয়েছি, এবং টাকাটা পেতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চায়। অসচেতনতাবশত আমি নম্বর দিয়ে দিই। পরে দেখি আমার কার্ড থেকে ছয় হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম আকাশ বলেন, একইভাবে এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়। তিনি বলেন, “তারা জানায় আমার ইসলামি ব্যাংকে করা বৃত্তির আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় আমি কোনো তথ্য দিইনি। পরে একজন শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টে দেখি, একই কৌশলে তার চার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি।”

ঘটনাটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাদের ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনলাইন ফর্ম, বৃত্তির আবেদন অথবা অভ্যন্তরীণ ডেটাবেইস থেকে এসব তথ্য চুরি হয়ে থাকতে পারে। তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য ফাঁসের উৎস সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন বলেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই, তাই এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কিছু কুচক্রী মহল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করছে। শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কোনো অনলাইন মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি হয়েছে কি না, তা আমরা তদন্ত করে দেখবো।”