নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দিন দুপুরে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সিফাত (২৬) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত (২৮ ফেব্রুয়ারী) শুক্রবার বিকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত সদর উপজেলায় কাদির-হানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র সহ ফিল্মি স্টাইলে হামলা,ভাংচুর সহ ব্যাপক লুটপাট চলে। এ ঘটনা সে-সময় টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ০৬ জনকে আসামি এবং কয়েকজন কে অজ্ঞাত নামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে রবিবার (০১ জুন) বিকালে সদর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল লোকমান আলমগীরের ছেলে সিফাত (২৬) কে আটক করা হয়। দুর্ধর্ষ সেই হামলা ও লুটপাটের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে গ্রেফতারকৃত সিফাত কে একটি অস্ত্র সদৃশ্য বস্তু সহ হামলায় অংশ নিতে দেখা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে কৃষ্ণরামপুর গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী নুরুল আফসার সুমনের (৪৫) সঙ্গে একই এলাকার আলমগীর (৩৫) ও তার ভাই জাহাঙ্গীরের (৩৭) বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিবার সালিশ বৈঠকও হয়। তবে এর সুরাহা হয়নি।
ঘটনার কয়েকদিন আগে আলমগীর একটি মামলায় জামিনে কারাগার থেকে বের হয়। এরপর থেকে সুমনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি।
গত (২৮ ফেব্রুয়ারী) শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭টি মাইক্রোবাসযোগে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী সুমনের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বসতঘরের গেট ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সুমনের স্ত্রী, শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যদের মারধর করে। এ সময় প্রাণ ভয়ে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যান।
পরে সন্ত্রাসীরা ঘরের প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করে সব মালপত্র ভেঙে ফেলে। নগদ টাকা, স্বার্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। যাওয়ার সময় তারা ঘরের খাট, লেপ, তোষক, সোফা, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, হাড়ি পাতিলসহ মালামাল ঘর থেকে বের করে পাশের পুকুরে ও সড়কে ফেলে দিয়ে যায়।
প্রবাসী সুমন বলেন, ‘আলমগীর একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। অপকর্মের দায়ে তিনি জেল খাটে। জেল থেকে বের হয়ে আমাকে বার বার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিলাম। আমার ২২ বছরের প্রবাস জীবনের সকল আয় উপার্জন শেষ হয়ে গেছে। সন্ত্রসীরা ৩৬ ভরি স্বর্ণ, সাত লাখ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।
সুধারাম থানার ওসি কামরুল
ইসলাম বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জের থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা হয় এবং সে মামলায় আজকে একজন আসামি কে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরবর্তীতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷,