ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী বলেছেন, কোরবানির পশু ক্রয় ও বিক্রয়ে সরকার নির্ধারিত হাসিলের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারবেন না হাট ইজারাদাররা।
এছাড়া রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে বা জোরপূর্বক ব্যাপারীদের পশু বিক্রয়ে বাধ্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ রোববার ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটে নিরাপত্তা, কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিপণন ও কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তাসহ ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশুবাহী কোনো যানবাহনকে হাটে জোরপূর্বক প্রবেশ করানো যাবে না। পশুর হাট অবশ্যই সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যত্রতত্র কোরবানির পশু লোড-আনলোড করা যাবে না। হাট থেকে ক্রয়কৃত কোরবানির পশু পরিবহনে যেন কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে বিষয়েও তিনি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, যেকোনো ধরনের সমস্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। রাস্তার শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করলে অথবা অযাচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করলে বা রাস্তা ব্লক করে পশুর হাট বসালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সমন্বয় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধিগণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিপিডিসি, ডেসকো, ঢাকা জেলা প্রশাসন, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা, লবণ ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিগণ এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পশুর হাটের ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।