ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল বিভাগের রায়

ভোটের মাঠে ফিরতে পারবে জামায়াত? বা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকেরই বা কী হবে! সব বিষয় নিয়ে আজ রায় দেবেন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এ রায় পক্ষে গেলে ভোটের মাঠে ফিরতে আর বাধা থাকবে না জামায়াতের।

ছাত্র-জনতার কোটাবিরোধী আন্দোলনকে জামায়াতের আন্দোলন উল্লেখ করে গেলো ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে জামায়াত রাজনীতিতে আসলেও দলটির নিববন্ধন নেই। রাজনীতির মাঠে সক্রিয় জামায়াত তাই ভোটের হিসেবেও ইসির নিবন্ধনের হিসেবের বাইরের দল।

যেহেতু সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে জামায়াত নিবন্ধনের বাইরে ছিলো কাজেই দলটি আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। রোববার জামায়াতের ভাগ্য নির্ধারনের রায় দেবেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের উপর নির্ভর করছে জামায়াতের ভোটের মাঠে ফেরা।

জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, আমরা প্রত্যাশা করি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের রায়ে ফেরত পাব। হাইকোর্ট ডিভিশন নিবন্ধন বাতিল করে যে রায়টি দিয়েছিলেন, আমরা প্রত্যাশা করি আপিল বিভাগ সেই রায়টি বাতিল করবেন

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। কিন্তু এ নিবন্ধন নিয়ে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তির করা এক রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগেই এই রায়কে ভিত্তি ধরে ইসি জামায়াতের নিবন্ধনকে বাতিল করে দেয়।

জামায়াতের আইনজীবী বলছেন, সেটা অন্যায় ছিল। তবে রোববার প্রতীক হিসেবে জামায়াত দাড়িপাল্লা পাবে কি না তারও সিদ্ধান্ত আসবে।

জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় প্রতীকটিকে এখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, সেটি ছিল ফুলকোর্টের একটি রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে। আমরা মনে করি ফুলকোর্টে একটি বিশেষ এজেন্ডা হিসেবে এটি উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেজন্য আমরা বিশ্বাস করি এই জন্য আপিল বিভাগ একটি পর্যবেক্ষণ প্রদান করবেন, যেন নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে।

জামায়াতের নিবন্ধন মামলায় আগের সেই অবস্থান নেই নির্বাচন কমিশনের। ইসি জানায়, তারা এই ইস্যুতে তাকিয়ে আছেন আপিল বিভাগের দিকে।

ঈদ উপলক্ষে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন

আজ জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল বিভাগের রায়

আপডেট সময় ০৯:২৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

ভোটের মাঠে ফিরতে পারবে জামায়াত? বা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকেরই বা কী হবে! সব বিষয় নিয়ে আজ রায় দেবেন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এ রায় পক্ষে গেলে ভোটের মাঠে ফিরতে আর বাধা থাকবে না জামায়াতের।

ছাত্র-জনতার কোটাবিরোধী আন্দোলনকে জামায়াতের আন্দোলন উল্লেখ করে গেলো ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে জামায়াত রাজনীতিতে আসলেও দলটির নিববন্ধন নেই। রাজনীতির মাঠে সক্রিয় জামায়াত তাই ভোটের হিসেবেও ইসির নিবন্ধনের হিসেবের বাইরের দল।

যেহেতু সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে জামায়াত নিবন্ধনের বাইরে ছিলো কাজেই দলটি আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। রোববার জামায়াতের ভাগ্য নির্ধারনের রায় দেবেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের উপর নির্ভর করছে জামায়াতের ভোটের মাঠে ফেরা।

জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, আমরা প্রত্যাশা করি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের রায়ে ফেরত পাব। হাইকোর্ট ডিভিশন নিবন্ধন বাতিল করে যে রায়টি দিয়েছিলেন, আমরা প্রত্যাশা করি আপিল বিভাগ সেই রায়টি বাতিল করবেন

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। কিন্তু এ নিবন্ধন নিয়ে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তির করা এক রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগেই এই রায়কে ভিত্তি ধরে ইসি জামায়াতের নিবন্ধনকে বাতিল করে দেয়।

জামায়াতের আইনজীবী বলছেন, সেটা অন্যায় ছিল। তবে রোববার প্রতীক হিসেবে জামায়াত দাড়িপাল্লা পাবে কি না তারও সিদ্ধান্ত আসবে।

জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় প্রতীকটিকে এখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, সেটি ছিল ফুলকোর্টের একটি রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে। আমরা মনে করি ফুলকোর্টে একটি বিশেষ এজেন্ডা হিসেবে এটি উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেজন্য আমরা বিশ্বাস করি এই জন্য আপিল বিভাগ একটি পর্যবেক্ষণ প্রদান করবেন, যেন নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে।

জামায়াতের নিবন্ধন মামলায় আগের সেই অবস্থান নেই নির্বাচন কমিশনের। ইসি জানায়, তারা এই ইস্যুতে তাকিয়ে আছেন আপিল বিভাগের দিকে।