ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘এবারের বাজেট জনগণের জীবনমান উন্নয়ন-ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে’-অর্থ উপদেষ্টা Logo রং-চং দিয়ে ঈদে ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে দেখলে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo বগুড়ায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড স্থাপনের দাবিতে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন Logo চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ছালামের ফ্যাক্টরিতে কেএনএফের পোশাক, আটক ৪ Logo বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫ জামাতের সময়সূচি Logo আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর Logo ফ্যাসিজম পুরোপুরি বিদায়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার: জামায়াতে আমির Logo হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিন আহমদের অভিযোগ Logo ৭ জনকে আসামি করে গুমের অভিযোগ জমা দিলেন সালাহউদ্দিন Logo পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়

পুলিশের সমালোচনার জেরে বরখাস্ত হলেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফিলিস্তিনপন্থী মিছিলে পুলিশের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করায় বরখাস্ত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে তাকে দায়িত্ব ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক। ব্রেভারম্যানের বিদায়ের পর যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন জেমস ক্লেভারলি।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ হারালেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। এর আগে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে লিজ ট্রাসের সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই তাকে ফের ওই পদে নিযুক্ত করেন নতুন প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক।

সোমবার বরখাস্ত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। সময় হলে আমি আরও বলবো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় এই রদবদল ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত প্রদানে রিশি সুনাকের সরকারকে আরও শক্তিশালী করেছে’।

এই রদবদল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে সংবাদপত্রে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন তিনি। ফিলিস্তিনিপন্থিদের একটি বিক্ষোভ মোকাবিলায় মেট্রোপলিটন পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন এ নেতা।

ব্রেভারমানের এই আচরণের কারণে রাজনৈতিক মহলে চাপের মুখে পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাককে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যে পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনার স্বাধীনতা লঙ্ঘন হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলের এমপিদের কাছ থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েন ব্রেভারম্যান। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যকে আপত্তিকর এবং উসকানিমূলক বলে অভিহিত করেন। শেষ পর্যন্ত সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তই নিলেন প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক

‘এবারের বাজেট জনগণের জীবনমান উন্নয়ন-ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে’-অর্থ উপদেষ্টা

পুলিশের সমালোচনার জেরে বরখাস্ত হলেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনপন্থী মিছিলে পুলিশের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করায় বরখাস্ত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে তাকে দায়িত্ব ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক। ব্রেভারম্যানের বিদায়ের পর যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন জেমস ক্লেভারলি।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ হারালেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। এর আগে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে লিজ ট্রাসের সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই তাকে ফের ওই পদে নিযুক্ত করেন নতুন প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক।

সোমবার বরখাস্ত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। সময় হলে আমি আরও বলবো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় এই রদবদল ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত প্রদানে রিশি সুনাকের সরকারকে আরও শক্তিশালী করেছে’।

এই রদবদল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে সংবাদপত্রে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন তিনি। ফিলিস্তিনিপন্থিদের একটি বিক্ষোভ মোকাবিলায় মেট্রোপলিটন পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন এ নেতা।

ব্রেভারমানের এই আচরণের কারণে রাজনৈতিক মহলে চাপের মুখে পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাককে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যে পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনার স্বাধীনতা লঙ্ঘন হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলের এমপিদের কাছ থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েন ব্রেভারম্যান। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যকে আপত্তিকর এবং উসকানিমূলক বলে অভিহিত করেন। শেষ পর্যন্ত সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তই নিলেন প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক