যারা যেনতেনভাবে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়, তাদের সঙ্গে একমত নয় জামায়াতে ইসলামী—এ কথা জানিয়ে দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, “আমরা চাই দুর্নীতিবাজ, জুলুমবাজ ও গণহত্যাকারীদের আগে বিচার হোক। এরপর সংস্কার, তারপর নির্বাচন।”
শনিবার দুপুরে জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা এবং তার দল দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। ২০১৪ সালে তারা বিনা ভোটের নির্বাচন করেছে, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে, আর ২০২৪ সালে নিজেদের মধ্যে ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে।”
দেশের আবার এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচন হোক, আমরা চাই না। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে জনমানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’
দেশে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা চালুর অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা ঘরে ঘরে আল কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। জাতীয় সংসদে কোরআনের আইন চালু করতে চাই।
জামায়াতে ইসলামী ইসলামকে রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। মদিনার আদলে দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। রাসুল (সা.) যেভাবে মদিনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, ঠিক সেইভাবে। আমরা বিশ্বাস করি, কুরআনের আইন ছাড়া দেশ কিংবা সারা বিশ্বে কোথাও শান্তি আসতে পারে না। কোরআনের আইন চালু হলে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ শান্তি এবং সমৃদ্ধি পাবে।
আমাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, ইসলামের ভিত্তিতে দেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করা।’ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘বিচার এবং সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের জন্য জামায়াতে ইসলামী রাজনীতি করে এটা ঠিক, কিন্তু যেনতেন করে একটা নির্বাচন বাংলাদেশে আর হতে দেওয়া হবে না।’